রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুর তিস্তা সেতুর নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কিছু প্রভাবশালী মহল। গভীর রাত হলেই শুরু হয় তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলন। তবে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে মাহিন্দ্রা ট্রাক দিয়ে বালু উত্তোলন করছে।এ কারণে স্থানীয়রা প্রকাশ্যে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।তারা প্রতিদিন ৯০-১০০ মাহিন্দ্রা ট্রাক দিয়ে রাত ১১টা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত বালু উত্তোলন করে।প্রতি ট্রাক্টর বালু এক হাজার থেকে ১২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’তিস্তা সেতুর কাছ থেকে বালু উত্তোলন করায় সেতুটি হুমকির মুখে রয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে ।নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর ও ফসলী জমি। এসব বালু উত্তোলনকারীদের হাত থেকে বাদ পড়ছে না তিস্তা নদীর আশপাশের এলাকাও।
আশরাফুল ইসলাম ( ছন্দ নাম)বলেন,প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ হুমকির মুখে ফেলে এভাবে অবৈধভাবে নদীর বুক থেকে বালু লুট করে নেওয়ায় বর্ষায় নদী ভাঙন তীব্র হবে। আর লাভবান হচ্ছে এক শ্রেনীর বালু সন্ত্রাসী। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
এক মাহিন্দ্রা ট্রাক ড্রাইভার আলী হাসান বলেন,আমরা মোন্নাফ মেম্বারের পয়েন্ট থেকে রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করি । শুধু আমি না চতুর পাশের গাড়ি আসে রাতে বালু তোলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টলি মালিক বলেন, আমরা সাবেক ইউপি সদস্য মোন্নাফ এর ডাকে আমরা মাহিন্দ্রা ট্রাক নিয়ে যাই । ট্রাক প্রতি ৩০০ টাকা করে দেই মোন্নাফ মেম্বারকে।
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের একজন সাবেক ইউপি সদস্য মোন্নাফ প্রতিবেদকে বলেন, উঁচু-নিচু জমি সমান করার জন্য বালু নিয়ে আসা হচ্ছে।তাতে কোন ক্ষতি হবে না আবাদ করার জন্য উপযোগী হবে।
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাছুমুর রহমান বলেন, এরকম কোন ইনফেকশন আমাদের কাছে নেই ।যদি ইনফরমেশন পাই তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
গঙ্গাচড়া সহকারী কমিশনার ভুমি জান্নাতুল ফেরদৌস উর্মি বলেন,আমরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।