রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল হাতপাখা প্রতীকে ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১২টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন। এছাড়া রসিকের ৩৩টি সাধারণ ও ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত কাউন্সিলদের ফলাফলে নতুনদের জয়জয়কার দেখা গেছে। ঘোষিত ফলাফলে রসিকের ১ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম (লাটিম-৩১২৫), ২ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাম সরওয়ার মির্জা (করাত-৩৩৭৬), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আসেক আলী (কাটাচামচ-২৬৫১), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে হারাধন চন্দ্র রায় (লাটিম-৩৫৬৬), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মোখলেছুর রহমান তরু (ঝুড়ি-২৭৯৩), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে আবু হাসান চঞ্চল (টিফিন ক্যারিয়ার-৩৩০২), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ারুল ইসলাম (করাত-১৬০১), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে আফছার আলী (মিষ্টি কুমড়া-২৫৮৭), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম দেওয়ানী (মিষ্টি কুমড়া-৪০৮৮), ১০ নম্বর ওয়ার্ডে শাহ মো. কামরুজ্জামান (ট্রাক্টর-২৭১৫) নির্বাচিত হয়েছেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়াজেদুল আরেফীন (কাটাচামচ-১৭৪১), ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মকবুল হোসেন (ট্রাক্টর-১৭৫৩), ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ফজলে এলাহী (করাত-২১১৫), ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মমদেল হোসেন সরকার (ঠেলাগাড়ি-২৯২৭), ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে জাকারিয়া আলম (রেডিও-৩৪৮৫), ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আমিনুর রহমান (ঘুড়ি-২৫৮১), ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল গাফফার (টিফিন ক্যারিয়ার-৩৭৬৩), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মাসুদ রানা চান্দু (টিফিন ক্যারিয়ার-২৪৩১), ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মাহমুদুর রহমান টিটু (টিফিন ক্যারিয়ার-৩৩৪৬), ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৌহিদুল ইসলাম (লাটিম-৩৯৭৯) নির্বাচিত হয়েছেন। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে মাহবুবুর রহমান মঞ্জু (ঘুড়ি-৩৮৫৯), ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান মিজু (মিষ্টি কুমড়া-৪১৩১), ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে লিটন পারভেজ (ঠেলাগাড়ি-৫০৪৩), ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল আলম (লাটিম-২৬৫১), ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুন্নবী ফুলু (লাটিম-৫১৮৬), ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে রেজওয়ান আল মেহেদী (করাত-২০৮১), ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে শাহাদাত হোসেন (করাত-৪৯৪৪), ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে হারুন অর রশীদ (লাটিম-৩৪৮৮), ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে জাহাঙ্গীর আলম তোতা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী, ৩১ নম্বর সামসুল হক (মিষ্টি কুমড়া-৩৩১৫), ৩২ নম্বর শাহাদৎ হোসেন (টিফিন ক্যারিয়ার-৪০২৩) এবং ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলাম (ট্রাক্টর-৬২১৫) বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী ১ নম্বর ওয়ার্ডে দিলারা বেগম (আনারস-১২৬৩৫), ২ নম্বর ওয়ার্ডে সুলতানা পারভীন (বই-৭১৩৪), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোছলেমা বেগম (জিপ গাড়ি-৬১৭১), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে শামীমা আক্তার (চশমা-৬৭৩৭), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মোছলেমা বেগম (হেলিকপ্টার-৯৩০৮), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জাহেদা আনোয়ারী (জিপ গাড়ি-৭২৭০), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফেরদৌসী বেগম (জিপ গাড়ি-৯৫২৩), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে হাসনা বানু (জিপ গাড়ি-৬১৩৫), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মনোয়ারা সুলতানা মলি (জিপ গাড়ি-৫০৫২), ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সাজমিন রহমান শিউলি (জিপ গাড়ি-৯৭০৭) এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ঝরনা খাতুন (হেলিকপ্টার-১৬৬৮৩) নির্বাচিত হয়েছেন। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে ২ জন সমান ভোট পেয়েছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে মো. শাহাজাদা আরমান (ঠেলাগাড়ি) ও সাইফুল ইসলাম ফুলু (ঘুড়ি) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৭ ভোট। এছাড়া এম. এ রাজ্জাক মণ্ডল লাটিম প্রতীকে এক হাজার ৮৯২ ভোট পান। ওই ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে কবে নাগাদ এই নির্বাচন আয়োজন করা হবে, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এবার মেয়র পদে ৯ জনসহ সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে জাহাঙ্গীর আলম তোতা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।