চট্টগ্রাম নগরীর ব্যস্ততম এলাকা পতেঙ্গা থানারমহাজন ঘাঁটা থেকে স্টীল মিল বাজার (এম.এ আজিজ ভিআইপি সড়ক) দখল করে কাঁচা বাজার আড়ৎ গড়ে উঠেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কাঁচা বাজার আড়তে অসহনীয় কর্মকান্ডেযানজট ও নাগরিক দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে প্রতি মাসে অবৈধ এই কাঁচা বাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকার অধিক চাঁদাবাজি হচ্ছে বলে জানা যায়। নগরীর উল্লেখযোগ্য স্থাপনা ও সরকারী গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর- শাহ আমানাত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, কর্ণফুলি ইপিজেড, তেল শোধানাগার, ইস্টার্ণ রিফাইনারী, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সরকারি খাদ্য গুদাম সাইলো, কর্ণফুলী টানেল, বিমান বাহিনী জহুরুল হক ঘাঁটি, নেভাল, পতেঙ্গা সি বিচ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে স্টীল মিল বাজারের মূল সড়ক দখল করে কাঁচা বাজার আড়তের মালামাল উঠানামা, যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং এর কারণে প্রতি নিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক, বিমান বন্দরের যাত্রী, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, মুমূর্ষু রোগী সহ সাধারণ পথচারীদের। উল্লেখ্য, গাউছিয়া বানিজ্যালয়, আলী বানিজ্যালয়, ময়নামতি বানিজ্যালয়, আসিফ বানিজ্যালয়, নোয়াখালী বানিজ্যালয় আড়তদারেরা প্রতি নিয়ত এই সড়ক দখল করে যানজট সৃষ্টি করছে। স্টীল মিল বাজার এলাকার বাসিন্দা সোলাইমান আলম জানান প্রতি নিয়ত কাঁচা বাজারের কর্মকান্ডে আমরা দুর্ভোগের শিকার। এই বিষয়ে চসিক ৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল বারেক দৈনিক নবচেতনাকে জানান, ¯’ানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় ভিআইপি সড়ক দখল করে কাঁচা বাজার আড়তের মাধ্যমে চাঁদাবাজির বানিজ্যের সাথে জড়িত। কাউন্সিলর আব্দুল বারেক আরো বলেন, স্থানীয় ওয়াহিদ হাসান, মহসিন, জাহিদ হাসান, শাহাদাত হোসেন সিন্ডিকেটটি এই অবৈধ কাঁচা বাজার আড়তটি নিয়ন্ত্রন করছেন। অবৈধ কাঁচ বাজার আড়তটি উচ্ছেদের জন্য চসিক মেয়র বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগকরেছি। চসিক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।