র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধসহ সমাজে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমন ও অপরাধের সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল অনুমান ০৯.৫০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার সিপিসি-২ (হোয়াইক্যং ক্যাম্প) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে সৈয়দ নূর নামে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার অপর একজন সহযোগী কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায় বলে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে তার ডান হাতে থাকা প্লাষ্টিকের ব্যাগ হতে ২,০০০ (দুই হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর পরিচয়- সৈয়দ নূর (৩৫), পিতা-আলী হোসেন, মাতা-রহিমা খাতুন, সাং-মাঝেরপাড়া, ০২নং ওয়ার্ড, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারী দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত । তারা পরস্পর যোগসাজসে মাদকদ্রব্য ইয়াবা পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবার চালান কক্সবাজারের টেকনাফ বিক্রয়ের পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য নানাবিধ অভিনব পন্থায় মাদক টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল বলে জানায়। উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।