করোনা নেগেটিভ সনদ না থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় (৭ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে আসা ৭টি ফ্লাইটের আরও ২৩৫ যাত্রীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে গত ৫ ডিসেম্বর থেকে মোট ৭৩৪ জন বিদেশফেরত ব্যক্তিকে রাজধানীর উত্তরা এলাকার দিয়াবাড়ির সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হলো।প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক যাত্রী এসেছেন সৌদি এয়ারলাইন্সে। করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া তাদের বিমানে করে রিয়াদ থেকে ১২১ জন, জেদ্দা থেকে ৬০ জন এবং শারজাহ থেকে এসেছেন ৯ জন।
এছাড়া, ইউএস বাংলায় (কাতার-দোহা) একজন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে (জেদ্দা) ১৭ জন, কাতার এয়ারলাইন্সে (দোহা) একজন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে (রিয়াদ) দেশে এসেছেন ২৬ জন।উল্লেখ্য, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সম্প্রতি বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করে।এ বিষয়ে বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশ আসতে হলে সব যাত্রীকে যাত্রা শুরুর সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা আগে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। টেস্টে “নেগেটিভ” যাত্রীরাই দেশে আসতে পারবেন। বিমানবন্দরে সেই “নেগেটিভ” সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। বিমানবন্দরেও তাদের করোনা সংক্রমণের লক্ষণ-উপসর্গ আছে কিনা তা অনুসন্ধান করা হবে।’৫ ডিসেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করে একটি নির্দেশনা জারি হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন রিয়াদ ও জেদ্দা থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সে করে দেশে আসা যাত্রীদের খুব কম সংখ্যকের কাছেই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকে।কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, সৌদি এয়ারলাইন্সে আগত এসব যাত্রীদের বেশীরভাগই অবৈধ সৌদি প্রবাসী। তাদের কারও পাসপোর্ট নেই, কারও আবার নেই আকামা (কাজের অনুমতি), কারও ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে, আবার কেউবা জেল খেটে কিংবা শরণার্থী হিসেবে দেশে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন। এসব ক্ষেত্রে করোনা সনদের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি শিথিল থাকায় সৌদি এয়ারলাইন্সে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া বেশী যাত্রী আসছে।বিমানবন্দরে কর্মরত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.শাহরিয়ার সাজ্জাদের কাছে জানতে চাইলে তিনিও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং কারণগুলো ব্যাখ্যা করেন।