শাহিন মুন্সী, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জ জেলায় পুলিশ কর্তৃক এক গৃহবধূর স্বামী, শশুর ও সৎ শাশুড়ি দ্বারা সংগঠিত হওয়া পরিকল্পিত হত্যাকান্ডকে অপমৃত্যু বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের একজন এস আই এর সাথে নিহত ঐ গৃহবধূর অভিভাবক ও স্বজনদের বাকবিতন্ডা হয়। এমনটাই দাবি করেছে নিহত গৃহবধূর মা রাজিয়া আলম, ভাই রাজিব মুন্সি, মামা কালাচান শিকদার ও ঘটনা স্থলে উপস্থিত থাকা সাধারণ জনগন।
অভিযোগে জানাযায় গতকাল ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব মিয়া পাড়া ইদ্রিস সরদারের নীজ বাড়িতে ছেলে করিম সাদারের স্ত্রী সুমনা আলম (২০) গলায় রশি দিয়ে আতœহত্যা করেছে মূলে নিহতের মা রাজিয়া আলমকে জামাই করিম সরদার ও বিয়াই ইদ্রিস সরদার মোবাইল ফোনে জানায়। ঘটনা স্থলে নিহতের মা, ভাই, মামা ও স্বজনেরা গিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের এস আই মুরাদ হোসেন ও সংগীও পুলিশ সদস্যদের বাড়ীটি ঘিরে রাখতে দেখতে পায়। নিহত গৃহবধূর মা, ভাই, মামা ও স্বজনেরা আমাদের প্রতিবেদককে জানান পুলিশ অফিসার মুরাদ হোসেন আমাদের বাড়ির মধ্যে ঢুকতে না দিয়ে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিয়ে লাশ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বলেন এটা অপমৃত্যু, মামলা ও ময়নাতদন্তের ঝামেলায় যাওয়ার দরকার নাই, লাশ নিয়ে মাটি দিয়ে দেন, এটাই ভাল হবে। আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নিতে আপত্তি জানালে এস আই মুরাদ আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। গৃহবধূর স্বজনেরা আরো জানিয়েছে এস আই মুরাদ হোসেন ও সিপাহি কবির হত্যাকারীদরে কাছথেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে তাদের আটক না করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাদেরকে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে আমাদের প্রতিবেদক এস আই মুরাদ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের উপর ক্ষিপ্ত হন। এই অসৌজন্যমূলক ব্যাবহারের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসাশন) মোহাম্মদ আসলাম খান কে অবহিত করলে তিনি বলেন বিষয়টি দেখছি, ময়নাতদন্ত হলে এস আই মুরাদ কোন প্রভাব খাটাতে পারবে না। গোপালগঞ্জ পুলিশের এই ধরনের নেতিবাচক কর্মকান্ডের জন্য নিহত গৃহবধূর পরিবার স্বজন ও এলাকাবাসির মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শোকাহত পরিবারটি ন্যায় বিচারের স্বার্থে পুলিশের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।