সৌদি আরবে কারখানায় আগুন লেগে মারা যান মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি সস্তাল এলাকার জুবায়েত ঢালী (৩৮)। শনিবার বিকেলে এই খবর জানতে পেরে নিহতের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহত জুবায়ের ঢালী মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচরী স্বস্থাল গ্রামের ইউনুস ঢালীর ৫ ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় সন্তান। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭ বৎসর পুর্বে একই প্রামের শারমিন বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধহন জুবায়েত ঢালী, সেখানেই জন্মনেয় দুই সন্তান, অভাব অনাটনের টানা টানির সংসারে ছেলে আব্দুল্লাহ (৬) ও মেয়ে আয়শার (৪) এর সুন্দর জীবন দেয়াসহ বাবা-মা, ভাই-বোনদের কথা চিন্তা করে ২০২১ সালে প্রবাসী কল্যান ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা লোন সহ আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে আরো ৩ লাখ টাকা ধার নিয়ে জীবনের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পারিদেন সুদুর সৌদি আরব। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে পরেযান দালালের খপ্পরে, নষ্ট হয়ে যায় ১ টি বছর তারপরে ভাগ্যের সাথ আপোষ না করে চলে যান সৌদি আরবের আল আহসা শহরে সখানে হুফুফ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিটি এলাকায় একটি সোফা কারখানায় কাজ নেন, ভালোই যাচ্ছিল দিন। একটু একটু করে লোনও শোধ করতে ছিলেন। কিন্তু শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে ঐ কারখানাতে আগুন লেগে মারা যান জুবায়েত। পরে শনিবার বিকেলে সৌদি আবর থেকে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তার পরিবার মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হোন। এরপর থেকেই পরিবারের চলছে শোকের মাতম। নিহতের স্ত্রী শারমিন বেগম বলেন, আমার তো সব শেষ হয়ে গেলো। আমার দুই ছেলে-মেয়ে এতিম হয়ে গেছে। ওরা এত ছোট বয়সেই ওদের বাবাকে হারালো। আমি এই বাচ্চাদের কিভাবে বড় করবো। সরকারের কাছে দাবী জানাই যাতে করে আমার স্বামীর লাশ দেশে আনাত পারি সেই ব্যবস্থা করে দেন। নিহতের ছোট ভাই আকাশ ঢালী বলেন, গতকাল (শনিবার) আমরা ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি। আমাদের এক আত্মীয় তার মৃত্যুর খবরটি আমাদের জানিয়েছেন। আমার ভাই এর দুটি সন্তান আছে। তারা এতিম হয়ে গেলো। ভাইয়ের লাশই কিভাবে আনবো আর কি ভাবেই করবো ধারদেনা ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ৩ লাখ টাকা শোধ। কালকিনির আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহিদ পারভেজ বলেন, ঘটনার কথা শুনেছি। আমি ঢাকাতে আছি। নিহতের পরিবারকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে। কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিংকি সাহা বলেন, ঘটনার কথা আমি শুনেছি। লাশ আনার ব্যাপারে নিহতের পরিবারে পক্ষ থেকে নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে আবেদন করবে। তারপর ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাক্ষর দিবেন এরপর আমি কাউন্টার সাক্ষর করবো। সেটা এয়ারপোর্টে দেখালে কাজ হবে। যদি কোন জটিলতা হয় তা হলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করবো।