করতোয়া নদীর শাখা ঘিল্লাই নদীর উপরে একটি সেতুর অভাবে কৃষক, শিক্ষার্থীসহ সব পেশার মানুষের দুর্ভোগ যেন কাটছেই না। যদিও স্থানীয়ভাবে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরী করে পায়ে হেটে কিংবা সাইকেল-মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে সেখানে। সাঁকোর দুই পাড়ে কাঁচা রাস্তা। এতে বর্ষার সময় আরও দুর্ভোগে পড়তে হয় মানুষকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে এর আশে-পাশের গ্রামের বিভিন্ন চাষাবাদের ফসল সময়মত বাজারজাত করা যায় না। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয় কৃষক। আবার কেউ অসুস্থ্য হলে রোগী নিয়ে খুব কষ্টে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। শিক্ষার্থীরাও পড়ে বিপাকে। অথচ বাঁশের সাঁকোর জায়গায় একটি সেতু নির্মিত হলে এ অঞ্চলের সাথে দুই জেলার দুই উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখবে এলাকাটি। কারণ সাঁকোর একপাশে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার চকগোপালপুর ইউনিয়ন এবং অপর পার্শ্বে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর। তবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও আজও এখানে সেতু নির্মাণ হয়নি। চকগোপাল গ্রাম থেকে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রায় ৪০ কিলোমিটার। আর নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রায় ৮ কিলোমিটার। সাঁকোর দুইপার্শ্বেই কয়েক মাইল কাঁচা রাস্তা দিয়ে তাই প্রতিনিয়ত চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষিপণ্যসহ সব কিছুতেই মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মজিদনগর কারিগরি স্কুলের শিক্ষার্থী দিশা মনি বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদেরকে ৩/৪ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে যেতে হয় স্কুলে, হেঁটে যাওয়ার কারণে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ি। কারণ কোন যানবাহন আসতে চায় না যেতেও চায় না সাঁকোর কারণে। ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি করতোয়ার শাখা ঘিল্লাই নদীর উপরে এই সাঁকোটি। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় এবং কৃষি ফসলের ন্যায্য মূল্য পাই না। জনপ্রতিনিধিরা কথা দিলেও আজও বাস্তবায়ন হয়নি এই সাঁকোর স্থানে সেতু নির্মাণ। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন কৃষকের কথা ভেবে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। চকগোপাল ইউপির ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আফাজ উদ্দিন জানায়, চকগোপাল গ্রামসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে এই সাঁকোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে স্কুল-কলেজ, চিকিৎসার জন্য যে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তার বড় কারণ কোন যানবাহন যাওয়া আসা করে না। এখানে একটি সেতুর নির্মাণ খুব প্রয়োজন।