হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল হাসান রিমান্ড আদেশ মঞ্জুর করেন। এর আগে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিটন রায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি নুরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি জানান, গত ১৬ জুলাই চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনসহ ৯৭ আসামির নাম উল্লেখ করে প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ ছাড়াও গত ২২ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুর থেকে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। তখন থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি। এদিকে, ব্যারিস্টার সুমনের রিমান্ড শুনানির বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার ধার্য করা হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা সাবেক এই সংসদ সদস্যকে বুধবার হবিগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। ব্যারিস্টার সুমনের আইনজীবী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মিথ্যা মামলায় সুমনকে জড়ানো হয়েছে। আমরা আদালতকে বলেছি ঘটনার তারিখ ও সময়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আমরা আরও বলেছি এই মামলায় ব্যারিস্টার সুমনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। মামলায় বলা হয়েছে তিনি পরোক্ষভাবে হুকুম দিয়েছেন। কিন্তু তিনি কার কাছে হুকুম দিয়েছেন, কীভাবে দিয়েছেন তার কোনো সত্যতা নেই। মূলত তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য তাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। এর আগে, ব্যারিস্টার সুমনকে আদালতে নিয়ে আসার সময় দুপুর ১টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে লোকজন। এসময় তারা সুমনকে বহনকারী প্রিজনভ্যানে ডিম ছুড়ে মারেন। এ ছাড়াও আদালত চলাকালীন ব্যারিস্টার সুমনের এক সমর্থক আদালতের ভেতরের ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করলে আইনজীবীরা তাকে ধাওয়া করে। এসময় ওই সমর্থক পালিয়ে যায়।