গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে তিন ‘সাঁওতাল হত্যা’, বসতঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের সাথে জড়িত ‘মূল হোতা’ সাবেক এম.পি আবুল কালাম আজাদসহ সকল আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবশে করা হয়েছে। সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি গোবিন্দগঞ্জ, আদিবাসী বাঙালী সংহতি পরিষদ গাইবান্ধা, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এসময় সাঁওতাল হত্যার মূল আসামিসহ জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি জানানো হয়। সেই সাথে সাঁওতাল বাঙালিদের পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরতের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর তৎকালীন এমপি আবুল কালাম আজাদ, মহিমাগঞ্জ সুগার মিলের এমডি, জিএম তাদের সন্ত্রাসীরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশসহ সাঁওতালদেরকে উচ্ছেদ করতে গেলে দফায় দফায় সংঘর্ষ সাঁওতাদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ৩০ জন সাঁওতাল আহত হন। তাঁদের মধ্যে তিন সাঁওতাল মঙ্গল মারডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রম মারা যান। অগ্নিসংযোগে পুড়ে যায় সাঁওতালদের ঘরবাড়ি। পরে জয়পুরপাড়ায় সন্তানদের জন্য একটি বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি বিদ্যালয়ের মাঠটি আবারও দখলে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে। ফলে উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সাঁওতাল শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত ও সুষ্ঠু শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে। স্মারকলিপিতে নিরীহ সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর মানুষের নির্বিঘ্ন শান্তিপূর্ণ বসবাসের দাবি জানানো হয়। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের সুখ-শান্তির বাজার এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশ করে।