দীর্ঘ ৩০ বছরেরও অধিক সময় যাবত দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আর্দশ বাস্তবায়নে এবং মুক্তিযেুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের উন্নয়নের দিকগুলো জাতির সামনে তুলে ধরতে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক নবচেনতার সম্পাদক ও প্রকাশক লায়ন মোঃ সাখাওয়াত হোসেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে আকড়ে ধরে তার আদর্শকে বুকের মাঝে লালন করে ২০০২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশন’। নতুন প্রজন্মের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরার জন্যই মূলত তার এই প্রয়াস। বিশেষ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া মুজিব আদর্শের সৈনিকদের ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন লায়ন মোঃ সাখাওয়াত হোসেন। ’৭৫-এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে তিনি সবসময় সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করে আসছেন । একই সাথে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন, ২০০১ পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুঃশাসন ও এক-এগারো সময়ে শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে সামনের সারিতে ছিলেন লায়ন মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।
উল্লেখ্য যে ক্রীড়াপ্রেমী লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন তার নির্বাচনী এলাকা বোয়ালমারী আলফাডাঙ্গা ও মধুখালীর ক্রীড়ামোদী জনগণকে বিনোদন দিতে লক্ষ জনতার সমাগমে আয়োজন করেন দেশবিখ্যাত ফুটবল টুর্নামেন্ট, ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ, মটরসাইকেল শোভাযাত্রা, ধর্মসভাসহ বিভিন্ন উৎসব। অজপাড়াগায়ে তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের অনেক মন্ত্রী মহোদয়গনকে উপস্থিত করেছেন। যুবসমাজ যখন মাদকে আসক্ত তখন তাদেরকে সুপথে আনতে লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেনের প্রচেষ্টা এলাকাব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষের প্রিয়জন হিসেবে তাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। এলাকাবাসীর দাবি তারা ফরিদপুর-১ আসনের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেনের মত একজন পরীক্ষিত জনদরদী এবং কর্মীবান্ধব নেতাকে নৌকার কান্ডারী হিসেবে উপহার পেতে চান।
মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসন। বোয়ালমারী উপজেলার কৃতি সন্তান লায়ন মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। সেই সুবাদে গণভবনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেইসময় সাক্ষাৎকারে জননেত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিতে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসে দিন রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে এবারও লায়ন মোঃ সাখাওয়াত মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন তাদের সুখ-দুঃখের কথা শুনছেন। বিশেষ করে এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে লায়ন মোঃ সাখাওয়াত হোসেন একটি প্রিয় মুখ। রাজনীতিতে কখনো তার গায়ে কালিমা লাগেনি। কারো সমালোচনা করতে মোটেও পছন্দ করেন না তিনি। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত তার পদচারণা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি তিনি সর্বদা নিবেদিত প্রাণ। রাজনীতিকে পুঁজি করে কখনো কোন সুবিধা নিতে তিনি অভ্যস্তু নন। বরং ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করার পর থেকে অদ্যাবদি পকেটের বিপুল অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছেন। আগামী ভবিষ্যতে এভাবেই নিজের অর্থ ব্যয় করে দলের উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন। বর্তমানে এমন রাজনীতিবিদ খুঁজে পাওয়া দায় যিনি নিজের অর্থ ব্যয় করে দলের জন্য আজীবন কাজ করে যাবেন। লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন-এর একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রতিবেদককে তিনি বলেন, আশা করি বঙ্গবন্ধুকন্যা আমার ব্যাপারে সদয় হবেন এবং নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে ফরিদপুর -১ আসনের জনগণের সেবা করার সুযোগ দান করবেন।