বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র অফিসার আবিদ হাচান শুক্রবার ছুটি থাকায়আলফাডাঙ্গা সদর বাজারে ৩০০ টাকা নিয়ে এসেছেন তরকরি কিনতে। দুই কেজি আলু ১০০ টাকা, বেগুন এক কেজি ৬০ টাকা, কচুর মুখি আধা কেজি ৪০ টাকা, ধুন্দল ও পটল কিনলেন ৮০ টাকা দিয়ে। বাড়ি থেকে স্ত্রী বলেছিল তরকারির পাশাপাশি কাচামরিচ কিনতে। টাকার হিসেব করে দেখে পাঁচ প্রকার তরকারি ক্রয় করার পর অবশিষ্ট ২০ টাকা আছে। ২৫০ গ্রাম কাচামরিচের দাম আলফাডাঙ্গা বাজারে ১২০ টাকা। শেষে দোকানিকে এক কেজি আলু ফেরত দিয়ে ১০০ গ্রাম মচির ক্রয় করে বাড়ি ফিরতে হয়েছে আবিদ হাচানকে। আফরোজা বাণু প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক ঈদুল আযহার সময় বেতন ও বোনাস পেয়ে ভাগে কোরবানি করেছিল। সেসময় অন্য বাজার করতে গিয়ে সবটাকা শেষ কিছু টাকা জমানো সঞ্চয় থেকে উত্তোলণ করতে হয়েছিল। জুলাই মাসে এসে দ্রব্যমূল্যর দাম দেখে সমস্তু মাসের হিসেব মিলাতে পারছেনা । এমাসেও কি গচ্ছিত সামান্ন জমানো টাকা উত্তোলণ করতে হবে। শুধু আবিদ হাচান কিংবা আফরোজা বাণু নয় আলফাডাঙ্গা বাজারে নিয়মিত তরকারি কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, ‘সব ধরনের তরকারির দাম অনেক বেশি। এতে আমাদের ভোগান্তি বেড়েই চলছে।’ সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। সবজির দাম বাড়ার কথা জানান বিক্রেতা জুদ্দু মিয়া। তিনি দাবি করেন, বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রির সুযোগ নেই। ঈদুল আযহার পর থেকে সবজির আরও দাম বাড়ার সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বাজার তদারকিতে উপজেলা প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। বাজার মনিটরিংয়ের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। তারা জোর দাবি জানিয়েছেন তরকারিসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানে যেন নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। তরকারির দাম বৃদ্ধির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) রফিকুল হক বলেন, বাজার তদারকি করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।