ঈদুল আযহার আগের দিন থেকে অতিবৃষ্টিতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা টগরবন্দ ইউনিয়নের টিটা গ্রামের চরাঞ্চলের মানুষের অর্থায়ানে গড়া যাতায়াতের সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। এতে টিটা গ্রামের মানুষ যোগাযোগ বি”িছন্ন হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ভূক্তভোগীরা অবিলম্বে সড়কটি মেরামত করে উপজেলার সাথে যোগাযোগ স্থাপনের দাবি জানান। তিন বছর আগে ভাঙা সড়কের স্থানে সেতু হবে বলে কর্তৃপক্ষের লোকজন ঢাকা থেকে এসে সয়েল টেস্ট করে নিয়েছে। সেখানে শুরু হয়নি কোনো কাজ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে জানা যায় কোনো ফান্ড না থাকায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আযহার আগের দিন থেকে অতি বৃষ্টিতে টিটা গ্রামের সংযোগের জনগুরুত্বপূর্ণ কাচা সড়কটি ভেঙে যায়। এতে ওই গ্রামের লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সামনে পাট কাটার মৌসুম সড়টি সংস্কার না হলে পাট জাগ দিতে কৃষকদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হবে। এতে কৃষি ব্যয় বেড়ে যাবে কয়েকগুন। এই গ্রামের সবাই প্রায় কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। এদের চাষ করা বিষ মুক্ত সবজি ও গরু দুধ সমাদর রয়েছে চারিদিকে। ভোক্তভোগীরা সড়কটি সংস্কার করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গির মিয়া বলেন, আমরা যে গ্রামে একটি দ্বিপের ওপর বসবাস করে থাকি। কয়েক মাস আগে গ্রামেরবাসীর অর্থায়ানে প্রায় ২০০ মিটার কাচা রাস্তা করা হয়েছে। ভারি বৃষ্টিতে সড়কটি কিছু অংশ ভেঙে গেছে। বর্ষা আসার আগে যদি সড়ক মোরামত না করা হয়। তাহলে এলাকাবাসীর সাথে উপজেলাসহ অন্য গ্রামের সাথে যোগাযোগ বি”িছন্ন হয়ে যাবে। কায়জার মিয়া বলেন, এই গ্রামের স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে, রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কটি ভেঙে যাওয়ার জন্য আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজে যেতে চাচ্ছে না। গ্রামের খায়ের মিয়া ও আজিজার মিয়া বলেন, তিন বছর আগে লোকজন ঢাকা থেকে এসে সয়েল টেস্ট করে গিয়েছে। ওই প্রর্যন্তই শেষ কোনো কাজ হয়নি। উপজেলা দুর্যোগ অফিসে যোগাযোগ করলে বলেন, তাদের ব্রিজ করার মতো অর্থ নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাঈদ পটু মিয়া বলেন, উপজেলার মধ্যে আমরাই সব থেকে অবহেলিত স্থানের বাসিন্দা। একটি দ্বিপের মধ্যে আমরা বসবাস করি। কিছু দিন আগে গ্রামবাসীর অর্থায়ানে করা সড়টি ভেঙে গেছে। ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিয়া আসাদুজ্জামান বলেন, সড়টি ভেঙে গেছে বিষয়টি ইউপি সদস্য আমাকে জানিয়েছে। পরিষদের কোনো ফান্ড নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সড়কটি সংস্কার করা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রণব পান্ডে বলেন,ওই স্থানে ৫০ ফুটের একটি সেতুর ব্যাপারে আমাদের চাহিদা দেওয়া আছে। সয়েল টেস্ট সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। যে কোনো সময় টেন্ডার হতে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক বলেন নতুন বছরের বরাদ্দ আসলে সড়কটি সংস্কার করা হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহিদুল হাসান বলেন, সড়কটি সংস্কার করার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।