সোনালী আঁশ পাট কাটা শুরু হলেও নেই পাটক্ষেতে উপযুক্ত পানি। ডোবা, বিল ও পুকুরে পানি না থাকায় পাট কেটে পঁচানোর জন্য যানবাহন বা মাথায় করে নেওয়া হচ্ছে নদী বা খালে। পাট কাটার সময় ক্ষেতে পানি না থাকায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পাট চাষীদের। ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা সকালে দলবেঁধে কাছি হাতে মাঠে যাচ্ছে পাট কাটতে। প্রায় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু উপযুক্ত পানি হচ্ছে না। তাই চাকচিক্য পানিতে আবার কোথাও টনটনা ক্ষেতে চাষীরা কাটছে পাট। সেই পাট কেটে বোঁঝা বেঁধে মাথায় করে অথবা ভ্যানে করে অন্যত্রে নিচ্ছে পঁচানোর উদ্দেশ্যে। তাদের সারা শরীর বেয়ে ঝড়ছে ঘাম। চাষীদের মুখে দেখা গেছে পাট নিয়ে দুশ্চিন্তার ছাপ। পাট চাষী দবির মোল্যা, কাঞ্চন শেখ, রায়হান মোল্যা ও কাইয়ুম মোল্যা জানান, বৃষ্টি কম থাকায় পাটের আবাদের প্রথম থেকেই পানির অভাব ছিলো। সেচ দিয়ে পাটের আবাদ করা হয়েছে। এখন পাট কাটার সময় হলেও ক্ষেতে নেই উপযুক্ত পানি। আবার পাট জাগ দিয়ে পঁচানোর জন্য ডোবা, খাল-বিলে নেই তেমন কোন পানি। মাঝে মাঝে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় নিচু জমিগুলোতে চাকচিক্য পানি বেধে পাটের গোড়া পচন ধরেছে। সেগুলো কেটে অন্যত্রে নেওয়াও বড় ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। আর শুকনা ক্ষেতের পাট কেটে কষ্ট হলেও নদী বা খালে নেওয়ার কাজ চলছে। চাষীরা আরো জানান, পদ্মা নদী থেকে আসা কুমার নদীর সুইচগেইট গুলো ছেড়ে দিলে কিছু পানি এই এলাকার খাল-বিলে আসতো। তাহলেই চাষীদের পাট পঁচানোর জন্য সুবিধা হতো। উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন শিকদার বলেন, সালথা উপজেলায় মোট আবাদী জমি রয়েছে ১৩ হাজার ২৬০ হেক্টর। এবছরও উপজেলায় ১২হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এবার উপজেলায় পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। বর্তমানে পাট কর্তনের কাজ শুরু হয়েছে। পানির অভাব থাকায় চাষীদের পাট পঁচানো কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি বৃষ্টির পানি ও নদীর পানি পাটক্ষেতে আসবে। আপতত পাশাপাশি চাষিদের আধুনিক পদ্ধতিতে পাট পঁচানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।