সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (২৮ জুন) ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১১ গ্রামের মানুষ।
জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের আংশিক মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে ঈদুল ফিতড় ও ঈদুল আযহার উৎসব পালন করে থাকেন। তাই অন্য এলাকার থেকে একদিন আগে এসব এলাকার লোকজন ঈদ উদযাপন করে থাকেন। একদিন আগে যারা রোজা, ঈদুল ফিতর উৎসব ও ঈদুল আযহা উদযাপন করেন তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফের মুরিদান। সহস্রাইল দায়রা শরিফ, রাখালতলি ও মাইটকুমরা মসজিদে এসব ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তিনটি জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ১১টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে জামায়াত শেষ হয়।
বুধবার (২৮ জুন) সহস্রাইল দায়রা শরীফের সমন্বয়কারী আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বোয়ালমারীর কাঁটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক জানান, চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরীফ ও সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকুমরা, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের আংশিক এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধলেরচর গ্রামের কিছু লোকজন একদিন আগে ঈদ পালন করে থাকেন।
সহস্রাইল দায়রা শরিফে নামাজ আদায় করার বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলেরচর গ্রামের বাসিন্দা আবু বক্কার জানান, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আমরা আগে আলফাডাঙ্গার তিনগ্রামের কিছু লোকজন নিয়ে ধলেরচর মাদ্রাসা ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করতাম। আমাদের ইমাম অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান মারা যাওয়ার পর থেকে এখানে আর জামায়াত হয় না। আমরা ধলেরচর গ্রামের কিছু লোকজন বোয়ালমারীর সহস্রাইল এসে নামাজ আদায় করি।