রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে রাত ১টা পর্যন্ত চলে। এতে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি আল মামুন গ্রুপ এবং স্থানীয় এমপি মসিউর রহমান রাঙ্গার গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ওই সংঘর্ষ হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্রের মহড়া দেওয়া হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। এসময় একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, পার্টি থেকে রাঙ্গা বহিষ্কার হওয়ার পর দীর্ঘদিন পরে প্রকাশ্যে রংপুর-১ আসনে স্থানীয় প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য আল মামুন প্রচার প্রচারণা শুরু করে। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার হওয়ায় সেখানে রাঙ্গা সমর্থকদের বাইরে জাতীয় ছাত্র সমাজের উপজেলা আহ্বায়ক দেওয়া হয় শামিউল ইসলাম শুভ ও সদস্য সচিব নাহিদ হাসান নীরবকে। আর এই কমিটিকে কেন্দ্র করে আল মামুনের গ্রুপের সঙ্গে রাঙ্গা গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল মামুন জানান, যারা জি এম কাদেরের সমর্থক তারা কখনও বহিষ্কৃত নেতার সঙ্গে থাকতে পারে না। সে কারণে আমরা এরশাদের আদর্শে জি এম কাদেরের সমর্থকদের দিয়ে নতুন কমিটি দিতে বলেছি। সংগঠন কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, সংগঠন চলবে সংগঠনের মত করে। যারা অস্ত্রবাজি করে জাতীয় ছাত্র সমাজে তাদের জায়গা নেই।
জাতীয় ছাত্র সমাজের জেলার যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সদ্য ঘোষিত উপজেলা আহ্বায়ক শামিউল ইসলাম শুভ বলেন, আমরা জাতীয় পার্টির রাজনীতি করি। জিএম কাদের যা বলবে তাই শুনবো। রাঙ্গা দল থেকে বহিষ্কৃত। তিনি দলের ওপর প্রভাব খাটাতে পারেন না।
এ বিষয়ে জানার জন্য মসিউর রহমান রাঙ্গার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
গঙ্গাচড়া থানার ওসি (তদন্ত) মমতাজুল ইসলাম সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় একজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।