ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ৭ লাখ টাকা কাবিনে বিধবা দাদির সঙ্গে নাতির বিয়ে হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত (২১ মে) রবিবার দুপুরে উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের শাহে আলম বেপারি গত দেড় বছর আগে মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর তার স্ত্রী শামসুন্নাহার (৫০)এর সঙ্গে পুত্র জসিম উদ্দিন এর ছোট পুত্র মিরাজ (২৩) এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা সম্পর্কে দাদি-নাতি। দাদার মৃত্যু পর থেকে দাদি ও নাতির মধ্যে গোপন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে দাদি-নাতির অনৈতিক সম্পর্ক ধরা পরে স্থানীয়দের হাতে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় মাতবররা বিষয়টি মিটমাটের জন্য নানান ফন্দি ফিকির করে দফায় দফায় সালিশ বৈঠক করেন। এতেও কোনো সুরাহা হয়নি। অবশেষে গত রবিবার (২১ মে) দুপুরে ৭ লাখ টাকা কাবিননামায় ভোলা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে কোড এফিডেফিট করে দাদি-নাতির বিবাহ সম্পন্ন করেন।এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাতি মিরাজ হোসেন তিনি বলেন, দাদা মারা যাওয়ার পর তার দাদির দেখাশোনা করার জন্য-ই স্বেস্থায় দাদিকে বিয়ে করেছেন তিনি। তবে কোড এফিডেফিডে মিরাজের বয়স ২৩ বছর দেখানো হলেও তার বড় ভাই একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ফিরোজ জানিয়েছেন মিরাজের প্রকৃত বয়স ১৭ বছর। এদিকে শামসুন্নাহার ও মৃত শাহে আলম দম্পতির ঘরে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে । এসব মেনে নিয়েই নাতি মিরাজ হোসেন তাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন বলে জানান শামসুন্নাহার। শশীভূষণ থানার উপপরিদর্শক (এস.এই) দেলোয়ার হোসেন বলেন, শামসুন্নাহার এর কাছ থেকে শুনেছি ৭ লাখ টাকা কাবিনে নাতি মিরাজকে বিবাহ করেছে।