সাগরে নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে ভোলার মেঘনা তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। এতে দিনে দুইবার প্লাবিত হচ্ছে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ জোয়ার বলে নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের অন্তত ১৫টি গ্রাম। এতে ওই সব গ্রামের ২০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
ভোলা সদরের ইলিশা, রাজাপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে বসবাস করেন ২০ হাজারের অধিক মানুষ। আর নিম্নচাপ ও জোয়ারে তলিয়ে গেছে এ তিন ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের বেশির ভাগ নিচু এলাকা।
ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। এতে রান্না-বান্না, চলাচলসহ বিঘ্নিত হচ্ছে জীবনযাত্রা।
এছাড়া জেলার মনপুরা, চরফ্যাশনসহ অন্যান্য উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঘরগুলের বেশিরভাগ নিচু এলাকা হওয়ায় তা ডুবে গেছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানান জানিয়েছেন, সাগরে নিম্মচাপের ফলে বাতাসের সাথে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যার ফলে বাঁধের বাইরে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সাধারণ নিয়মে ভাঁটার সময় পানি স্বাভাবিক হবে।