জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সন্তান অন্য বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করলেও ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী দেখিয়ে অভিভাবক সদস্য হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চরম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় বিদ্যালয়টির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিনয় মহলে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। মাহমুদপুর গ্রামের মৃত ছয়েদ আলীর পুত্র মেহেদী হাসান মুকুল জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়মিত কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল মোতাবেক গত ৯ মে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাছাই এর তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু বাছাই কমিটি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের দাখিলী কাগজপত্র ও মনোয়ন পত্র সঠিকভাবে পর্যালোচনা না করে উল্লেখ করেন যে, “প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পদে কোন মনোনয়ন পত্র জমা পড়ে নাই, দাতা সদস্য পদে ১ জন, সাধারণ শিক্ষক পদে ৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য পদে ২ জন ও সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে ৮ জন এবং সংরক্ষিত অভিভাবক সদস্য পদে ২ জন, প্রাপ্ত মনোনয়ন পত্র সকলেই সঠিক ও বৈধ বলে বিবেচিত হয়।” প্রকৃত পক্ষে মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন ২০২৩-এর বাছাই কমিটির অভিভাবক সদস্য পদের প্রার্থী মাহমুদপুরের মৃত খালেক মন্ডলের পুত্র শাহীন মন্ডল ও একই গ্রামের মৃত নুরুল উদ্দিনের পুত্র মোঃ রাউফুল আজম রাসেলের কাগজপত্র সঠিক যাচাই বাছাই না করেই সঠিক দেখানো হয়েছে। অথচ তাদের সন্তান লেখাপড়া করে অন্য বিদ্যালয়ে। তাদের সন্তান অন্য বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা সত্ত্বেও তাদের অভিভাবক ও ভোটার ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মনোনয়ন পত্র জমা নিয়ে বাছাই কমিটি তাদের নামসহ অন্যান্যদের নামের সামিলে তালিকা প্রনয়ন করেন। যা কোন ক্রমেই সঠিক হয়নি। প্রকৃত পক্ষে শাহীন মন্ডলের পুত্র মোঃ তামিদ রমিত তাঈম মেলান্দহের মাহমুদপুর গ্রামের “আল রাফি স্কুল”-এ সপ্তম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করে। যার রোল নং- ১৬ এবং মোঃ রাউফুল আজম রাসেলের কন্যা রাউফী আজম রাইসা সদর উপজেলার শরিফপুরে ইউনাইটেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করে। প্রকৃত পক্ষে উক্ত শাহীন মন্ডল ও রাউফুল আজম রাসেলের কোন সন্তান মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে না বিধায় উক্ত শাহীন মন্ডল ও রাউফুল আজম রাসেল মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন- ২০২৩ এ সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আইনগত সুযোগ না থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র মূলকভাবে বাছাই কমিটি তাদের সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য বৈধ ও সঠিক বলে বিবেচনা করেছেন। শাহীন মন্ডল ও রাউফুল আজম রাসেল মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন/২০২৩- সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন করলে বা তাদেরকে অসাধুভাবে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষনা করলে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ধবংসের মুখে পতিত হবে এবং বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ায় চরম ক্ষতি হবে।
শাহীন মন্ডল ও মোঃ রাউফুল আজম রাসেলের মনোনয়ন পত্র, ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরা খাতা এবং তাদের সন্তানদের অন্য প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে শাহীন মন্ডল ও রাউফুল আজম রাসেলের সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত রাখা এবং সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি অভিভাবকদের। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে উপযুক্ত ও বৈধ সাধারণ অভিভাবক সদস্যদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগদান এবং অন্য বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করা শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ভোট তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের। মাহমুদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন ২০২৩-এ সাধারণ অভিভাবক সদস্য পদের প্রার্থী উক্ত শাহীন মন্ডল ও মোঃ রাউফুল আজম রাসেলের মনোনয়ন পত্র, ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরা খাতা এবং তাদের সন্তানদের অন্য প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে বাছাই কমিটির তালিকা হতে তাদের নাম অপসারন পূর্বক উপযুক্ত সাধারণ অভিভাবক সদস্যদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেবার দাবি অভিভাবকদের।এ বিষয়ে জামালপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরা মোস্তারী ইভার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি জরুরি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।