সোনালী আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর। এই স্লোগনকে সামনে রেখে প্রতি বছর ফরিদপুর জেলায় প্রচুর পাটের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে সালথা উপজেলা পাটের আবাদে অন্যতম। এই উপজেলায় মোট অবাদ জমি রয়েছে ১৩ হাজার ২৬০ হেক্টর। এবছরও উপজেলায় ১২হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা মোট আবাদী জমির ৯৩ শতাংশ বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রচন্ড খড়ার পরে বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন মাঠে পাটের চারা বেড়ে ওঠছে হু-হু করে। পাট চাষীরা কাছি ও টেংগি হাতে পাটের পরিচর্যা করছেন আর ভাটিয়ালী সুরে গান গাইছেন। সারাদিন পাটের নিরানীর কাজ করছেন কিন্তু ক্লান্ত হচ্ছেন না চাষীরা। পাটের চারা দেখে তাদের মূখে হাসি ফুটে উঠছে। তারা বলছেন যদি আবহাওয়া পাটের অনুকূলে থাকে তাহলে পাট খুব ভালো হবে। উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের পাট চাষী কাইয়ুম মোল্যা বলেন, এবছর চার বিঘা জমিতে পাট বপন করেছি। প্রচন্ড খড়ার কারণে প্রথমে পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলো। পাট গাছ অনেক ছোট ছিলো। আল্লাহুর রহমতে বৃষ্টি হওয়ার জন্য পাটের গঠন পরিবর্তন হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পাট গাছ দ্রুত বেড়ে উঠবে। আশা করি এবার পাট ভালো হবে ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলেন, গত বছরে পাটের মুল্যে আমরা যেটা পেয়েছি তাতে লাভ হয়নি। পাটের দাম আরেকটু বাড়লে কৃষকের লাভ হবে। গট্টি ইউনিয়নের জয়ঝাপ গ্রামের পাট চাষী মো. দবির মোল্যা বলেন, আলহাদুলিল্লাহ এবার পাটের গঠন খুব ভালো আছে। পাটের সৃজণে দাম একটু বাড়লে চাষীরা উপকৃত হবে। তা না হলে বর্গা বা প্রান্তিক চাষিদের লোকসান গুণতে হবে। উপজেলা সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, পাট আবাদের জন্য সালথা উপজেলায় ৩ হাজার চাষীকে বিনামুল্যে পাটের বীজ দেওয়া হয়েছে। সার আসার সাথে সাথে চাসীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। পাটে পোকা-মাকড় দমনে চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হ”েছ। আমরা বাড়িতে বাড়িতে উঠান বৈঠক করে পাটের পরিচর্যার বিষয়ে চাষীদের সচেতন করছি। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার জীবাংশু দাস বলেন, সালথা উপজেলায় এবছ ১২ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা মোট আবাদী জমির ৯৩ শতাংশ। বর্তমানে আগাছা পরিস্কার ও পাট পাতলা করণের কাজ চলছে। ইমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় এই মুহুর্তে সেচের কোন প্রয়োজন নেই। বালাই দমন ও আন্ত:পরিচর্যার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ প্রদান করা হ”েছ।