ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের সালামতপুর ঘাটে যাত্রী হয়রানী ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এর জন্য ঘাটের মাঝিরা দায়ি করছেন ঘাট মালিকদের। ঘাট মালিকের চাহিদা পুরন করতে যাত্রিদের ওপর তাদের কঠোর হতে হয় বলে জানালেন মাঝিরা। পুরাতন বছরের ইজারা শেষ হওয়া এবং নতুন বছরে ইজারা শুরু হলেও করোনা কালীন বাড়তি ভাড়ার রেস এখনো টানতে হচ্ছে যাত্রীদের। এদিকে পহেলা বৈশাখে পুর্বের ইজারা শেষ হয়ে নতুন ইজারা শুরু হয়েছে। যা বিগত বছরের চেয়ে এ বছর সরকারের আয় কমিয়ে , কম দামে ঘাট ইজারা দিয়েছে। যা ইজারার প্রথম দিনেই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রী প্রতি ১০-১৫ টাকা, ১জন আরোহীসহ মোটরসাইকেল ২০-২৫ টাকা ও ২জন সহ ৪০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। যা অন্যান্য ইউনিয়নের খেয়াঘাটের চেয়ে বেশী আদায় ও যাত্রীদের হয়রানী করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে আগে করোনার দোহাই দিয়ে ভাড়া বেশী নেওয়া হতো। কিন্তু এখন কেন বেশী নেওয়া হচ্ছে? এ বিষয়ে সালামতপুর ঘাট মাঝিদের সরদার অজয় সরকার জানান, শুনেছি ধীরেন সরকার নামে একজন ঘাট কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইজারা নিয়েছেন। কিন্তু সমস্ত বিষয়ে তদারকি করছেন কোমরপুর গ্রামের আরক আলী এন্ড গং । তিনি বলেন আমাদের এই ঘাটে অনেক খরচ আছে। ’স্থানীয় সরকারের কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান এর মাধ্যমে জানা যায়, সালামতপুর খেয়া ঘাট ৬১,০০০ (এক ষাট্রি হাজার) টাকা সরকারী ভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। যা অন্য ইউনিয়নের খেয়াঘাটের ইজারা থেকে অনেক ,অনেক কম। তাই সচেতন মহলের দাবি, ঘাট মালিকেরা সহনশীল না হলে অতিরিক্ত ভাড়ার প্রকোপ থেকে সাধারণ যাত্রিরা রেহাই পাবেনা। যা সরকারী রেট ঘাটে থাকা দরকার বলে সচেতন নাগরিক দাবী করেন প্রশাসনের নিকট। এ ব্যপারে উপজেলা প্রশাসনকে ঘাট মালিকদের ব্যপারে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন তারা।