টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দশকিয়া ইউনিয়নের দশকিয়া পালপাড়া গ্রামে ৯০ বছর বয়সী এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ওই বিধবাকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সালমা জাহান। ৯০ বছর বয়সী বিধবা নারীকে এক যুবক ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। জানাগেছে, দশকিয়া পালপাড়া গ্রামের ওই বৃদ্ধা বাড়ির একটি টিনসেড ঘরে একাই ঘুমাতেন। তার তিন ছেলে আলাদা আলাদা ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকেন। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দিনগত ভোর রাতে ওই বৃদ্ধার ঘরে ঢুকে পাশের কদিম হামজানী গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে পলাশ মিয়া (২৬) যৌন নিগ্রহ চালায় ও ঘুষি দিয়ে দাঁত ভেঙে ফেলে। শাশুড়ির গোঙানির শব্দ পেয়ে পাশের ঘর থেকে তার পুত্রবধূ এগিয়ে আসতে চাইলে ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দরজার বাঁধন খুলে দিলে তিনি ও অন্যরা বাইরে এসে ওই বৃদ্ধাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। ওই সময় বৃদ্ধার দাঁত ভাঙা ও যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রতিবেশিরা আরো জানান, শরিফ উদ্দিনের ছেলে পলাশ মিয়া (২৬) একজন মাদকাসক্ত। তিনি মাদকের টাকা জোগার করতে প্রায়ই চুরি-ছিনতাই করে থাকে। মাদকের টাকার জন্য ঘরে ঢুকে বিধবা বৃদ্ধাকে একা পেয়ে পলাশ মিয়া ধর্ষণ করে ও একটি মোবাইল চুরি করে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় ওই বিধবার পুত্রবধূ পলাশ মিয়াকে দেখতে পেয়েছেন। ওই বিধবার পুত্রবধূ জানান, গোঙানির শব্দ পেয়ে তিনি শাশুড়ির ঘরে যেতে চাইলে দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখতে পান। তার চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে বাইরে থেকে বাঁধন খুলে দিলে তিনি ও বাড়ির অন্যরা বেড়িয়ে আসেন। এ সময় বাড়ির পাশে একটি গাছের নিচে পলাশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ডাক দিলে পলাশ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে শাশুড়ির ঘরে গিয়ে তাকে খাটের নিচে পড়ে থাকতে দেখেন। তখন শাশুড়ির গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সালমা জাহান জানান, ওই নারীকে ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তার গোপনাঙ্গে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। বর্তমানে ওই নারী হাসপাতালের ৩নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দশকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মালেক ভূঁইয়া জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। শোনা যাচ্ছে একজন মাদকাসক্ত ৯০ বছরের একজন বিধবাকে ধর্ষণ করে চরম অন্যায় করেছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, এই ধর্ষনের বিষয়ে আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।