ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারে যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাতে সেতুর উপর ডাবল ডেকার বিআরটিসি পরিবহনের একটি বাস অকেজো হওয়ায় সেতুর দুই পাশে অন্তত ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন আটকে পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বাসটি সরিয়ে নেওয়ার পর দুপুরের পর থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের যানবাহনগুলো যখন এলেঙ্গা থেকে দুই লেনের সড়কে প্রবেশ করে তখন যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ বেড়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে। মহাসড়কে উত্তরবঙ্গের দিকে গাড়িগুলোর চাপ বেশি এবং উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে গাড়িগুলো অনেকাংশে খালি অবস্থায় যাচ্ছে।
মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গোড়াই থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার সড়কে ৭০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৭টি জেলাসহ ২৩টি জেলার ৯৮টি রুটের যানবাহন চলাচল করে। ঈদের সময় এই যানবাহন চলাচল আরও দশগুণ বেড়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ৪২৭ টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৩৬ লাখ ৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ২৭ হাজার ২৩২টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা এবং সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৬ হাজার ১৯৫টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৯০০ টাকা।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে পরিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগতিতে চলাচল করছে। এছাড়া সেতুর উপর একটি বাস নষ্ট হওয়ায় পাঁচ মিনিট বন্ধ ছিল পরিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন্য পরিবহনগুলোতে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।