ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গাজীখালী গুচ্ছ গ্রামের আগুনে পুড়ে পাঁচ পরিবারের বসতঘর সহ সর্বস্ব পুড়ে গেছে। সোমবার উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের সাথে কামারখালী ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামে জাফর মৃধার স্ত্রী রোকেয়া বাড়িতে বেলা প্রায় ১টায় দুপুরে রান্না করার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আশিকুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), মধুখালী থানা’র এস.আই. শংকর বালা, কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান, আড়পাড়া ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মোল্যা, কামারখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউ.পি. সদস্য নুরুল ইসলাম মল্লিক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ ও গ্রামপুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, জাফর মৃধার রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তে আগুন পুরো পাচ বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আগুন নেভাতে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে ওই বাড়ির মৃত ইব্রাহীম মৃধা’র দুই স্ত্রী মনোয়ারা ও রিনা বেগমের ছেলে জাফর মৃধা, কামরুল মৃধা, নাতী ছেলে ইনামূল মৃধা’র বসত সহ পাঁচটি পরিবারের বসতঘর সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পাচটি ঘরে থাকা আসবাবপত্র , মালামাল ধান, চাল, রসুন, পিয়াজ সহ অন্যান্য মালামাল কিছুই অক্ষত অবস্থায় সড়াতে পারিনি পুড়ে গেছে। তবে স্থানীয়রা ধারণা করছেন আগুনে ওই পরিবারগুলোর কমপক্ষে নগদ ১লক্ষ পাচ হাজার টাকা সহ প্রায় ১৫লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া রোকেয়া বেগম ও মেয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন এবং বাড়ীতে একটি ছাগল পুড়ে মারা গেছে ও একটি গরু ও দুটি ছাগল গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। স্থানীয় কামারখালী ইউপি চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী ও আড়পাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান জানান, আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারগুলোর পরিধেয় বস্ত্র ছাড়া কিছুই নেই। এ বিষয়ে স্থানীয়, সাংসদ সহ প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদবর্গের বিষয়টি অবগত করেছেন। এদিকে আগুনের খবর পেয়ে শুকনা খাবার সহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীম আরা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিশেষে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার ক্ষতিগ্রস্থ পাচটি পরিবারের টিন, নগদ অর্থ সহ আবাসনের ব্যবস্থা করবেন।