সূর্যের প্রখরতা ও ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা টাঙ্গাইল জেলার সাধারণ মানুষের। গত এক সপ্তাহ ধরে তাপদাহের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ কাজের ফাঁকে গাছের নিচে ও ঠান্ডা স্থানে বসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এছাড়া প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে মানুষজন কম বের হওয়ায় আয়ও কমেছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। শনিবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীতে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশাঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল (শনিবার) সকালে টাঙ্গাইল জেলা সদর, বটতলা, সাবালিয়া, রেজিষ্ট্রিপাড়া নিরালা মোড় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রিকশা চালক ও নিম্ন আয়ের মানুষরা গরমে হাঁসফাঁস করছেন। বিশেষ করে রিকশা চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। কোনো কোনো রিকশা চালককে গরম থেকে বাঁচতে গাছের নিচে রিকশায় বসে আবার অনেককেই দোকানে বসে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। জেলা সদরের সড়কে কথা হয় রিকশা চালক মোজাম্মেল মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে রোদের তাপ অনেক বেশি। রোজা রেখে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। এছাড়াও গরমের কারণে মানুষ ঘর থেকে কম বাইরে আসেন। এতে আমাদের আয় কমে গেছে। পরিবার নিয়ে চলতে খুব কষ্ট হচ্ছে।’ অপর রিকশা চালক রূপচান মিয়া বলেন, ‘দুই সপ্তাহ পর ঈদ। প্রচন্ড রোদের কারণে আধা ঘণ্টা রিকশা চালাই আর আধা ঘণ্টা বিশ্রাম নেই। রোজগার অনেক কমে গেছে।’ রাজ মিস্ত্রির কাজ করা হুমায়ন মিয়া বলেন, ‘অন্যান্য পেশার তুলনায় আমাদের কাজে পরিশ্রম বেশি। আর কয়েক দিনের গরমে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’ টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমানে দিনের দৈর্ঘ্য বেশি। এছাড়াও চৈত্র মাসের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার টাঙ্গাইলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ছিলো ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আগামীতে আরও বাড়তে পারে।’