টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২২টি দোকান পুড়ে গেছে। শনিবার উপজেলার সহবতপুর বাজারে রাত তিনটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কমপক্ষে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা।
সহবতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মো. আনিসুর রহমান আনিস বলেন, শনিবার গভীর রাতে সহবতপুর বাজারে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকান গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরই মধ্যে বাজারের মো.ফরহাদ হোসেন.মো. মানিক খান, ইসমাইল হোসেন খান, মো. শাহলিম হোসেন, ফটিক মিয়া, হাকিম খান, মুদি দোকান, মো. গনি মিয়া, মো. আনোয়ান হোসেন ফলের দোকান, মো.এন্তাজ আলী, মো. লুৎফর রহমান, স্বপন, কামাল মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, গপিনাথ বিশ্বাস পানের দোকান, ফজলুল করিম, ফরমান খান, সেকান মিয়া, দানেজ আলী, এবাদত হোসেন. গবিনাথ ঠাকুরসহ প্রায় ২২টি ঘর পুড়ে যায়। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, প্রাথমিক ভাবে তা জানা যায়নি।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর – দেলদুয়ার) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমি সহবতপুর বাজারে অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়েছি। যে সব ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে আমার পক্ষ থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকান্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সহবতপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জুয়েল মিঞা বলেন, এ অগ্নিকান্ডে তাঁদের কমপক্ষে প্রায় কোটি লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নাগরপুর থানার কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অগ্নিকান্ডে ছোট-বড় প্রায় ২২টি দোকান ও ঘর পুড়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে অগ্নিকান্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে।