দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক সাহাবুল হোসেন বাবুর (২৪) লাশ তিন দিনেও ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। লাশ ফেরত পেতে বাবা-মা, স্ত্রীসহ স্বজনরা তিন দিন ধরে অপেক্ষায় থাকলেও এখনও না পেয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিন কাটানোর পাশাপাশি পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে হিলি সীমান্তের ২৮৫নং মেইন পিলার এর ২৫ নং সাবপিলার এর ২০০-৩০০ গজ ভারত অভ্যন্তরে কুন্ডপাড়াতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত সাহাবুল হোসেন বাবু হিলির ফকিরপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। এদিকে, ছেলের মরদেহ ফেরত পেতে বিজিবিসহ বিভিন্ন দফতরে পত্র দিয়েছেন বাবা আবুল হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের ফকিরপাড়া (ধরন্দা) এলাকার ২৮৫ নং মেইন পিলার এর ২৫নং সাব-সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে ওই যুবক ভারতের কুন্ডুপাড়া এলাকায় ঢুকে পড়েন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পর তিন দিন পার হলেও লাশ ফেরত দেয়নি। এর ফলে ভারতেই পড়ে আছে নিহত বাবুর লাশ।
নিহতের বাবা আবুল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে হত্যা করেছে- এমন খবর পেয়ে শুক্রবার রাত থেকেই স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে যোগাযোগ করি। সর্বশেষ ছেলের লাশ ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গতকাল বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু বিজিবি এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ছেলের লাশ এখন ভারতের পুলিশের হেফাজতে পড়ে আছে। লাশ দ্রুত দেশে এনে ইসলামের রীতি অনুযায়ী দাফন কাজ সম্পন্ন করতে পারি- সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিহতের স্ত্রী বাবলী আক্তার বলেন, বাবু শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়ের খাবার কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশীরা জানান, আমার স্বামীকে বিএসএফ নাকি গুলি করে হত্যা করেছে।
জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।