নোয়াখালীতে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ী মো. গোলাম মোস্তফাকে (৪০) হত্যার দায়ে বাবা-ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা ব্যক্তিরা হলো,- সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের শাহাজাতপুর গ্রামের মো. আবদুল মান্নান (৬৫) ও তার ছেলে মো. সোহেল (৩৫)।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় ছেলে উপস্থিত থাকলেও বাবা আবদুল মান্নান পলাতক ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত একাধিক আসামি সদর উপজেলার ব্যবসায়ী নিহত মোস্তফার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। ২০০৬ সালের ২৯ জুলাই রাত ১০টার দিকে ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা তার জনতা বেকারিতে অবস্থান করছিলেন। চাঁদার টাকা না পেয়ে আসামিরা তাকে কুপিয়ে জখম করে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপর হামলাকারীরা দোকান থেকে এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে নুর উদ্দিন জুয়েল বাদী হয়ে ৯জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় প্রদান করে। মামলার প্রধান আসামি স্বাভাবিক মারা যায়। বাকী ৬ আসামিকে আদালত বেকুসুর খালাস দেয় এবং বাবা- ছেলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়।