অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র শীতের দাপটে যখন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দুস্থ শীতার্তরা কাহিল, ঠিক তখনই ফুলবাড়ী পৌর শহরের তিন শিশু-কিশোরী শিক্ষার্থী সন্ধ্যার পর কম্বল হাতে ছুঁটছে দুস্থদের বাড়ী বাড়ী। ইতোমধ্যেই উপজেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন এলকার দুই শতাধিক দুস্থ শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছে এই শিশু-কিশোরী শিক্ষার্থীরা।
ফুলবাড়ী পৌর এলাকার কাঁটাবাড়ী গ্রামের শিল্পপতি রাজু কুমার গুপ্ত’র মেঝো মেয়ে সদ্য এসএসসি উত্তীর্ণ স্নেহা গুপ্তা (১৬), তার ছোটবোন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সেজুতি গুপ্তা ও তার কাকাতো ভাই চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী গোপাল গুপ্ত (১০) এই মানবিক কাজ শুরু করেছে।
শিশু গোপাল গুপ্ত’র পিতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আনন্দ কুমার গুপ্ত বলেন, তীব্র শীতে দুস্থ মানুষরা শীতে প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছে এমন চিন্তা থেকে ¯েœহা, সেজুতি ও গোপাল বায়না ধরে তারা নিজেই দুস্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করবে, এজন্য অন্তত দুই শতাধিক কম্বল কিনে দেওয়ার জন্য। শিশুদের এই মানবিক আবেদন শুনে বড়ভাই শিল্পপতি রাজু কুমার গুপ্ত’র সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পর শিশুদেরকে দুই শতাধিক কম্বল কিনে দেওয়া হয়।
এরপর গত রবিবার (২২ জানুয়ারি) রাতেই শিশু-কিশোরীরা উপজেলার পৌর এলাকা কাঁটাবাড়ীসহ উপজেলার ৫নং খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের অম্রবাড়ী, লালপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার দুস্থ শীতার্তদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে দুইশতাধিক কম্বল বিতরণ করেছে।
স্নেহা, সেজুতি ও গোপাল বলে, শীতে গরীব মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, এমন চিন্তা থেকে বাবা ও কাকার কাছে কম্বল বিতরণের জন্য আবদার করেন। তাদের আবদারে সাড়া দিয়ে দুইশতাধিক কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয় তাদেরকে। যা ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে পেরে তারা ভীষণ খুশি।
শিল্পপতি রাজু কুমার গুপ্ত বলেন, শিশু-কিশোর-কিশোরীদের মনে যখন মানবিক ভাবনা আসে, তখন তার কথা শোনা প্রয়োজন এমন চিন্তা থেকেই তাদের আবদার কম্বল কিনে দেওয়া হয়েছে। মানবিক গুণাবলির মধ্যে শিশুরা বেড়ে উঠলে তাদের মাধ্যমে কল্যাণকর কাজ নিশ্চিতভাবে সাধিত হবে। শিশুদের আবদার পূরণ হওয়ায় তারা ভীষণ খুশি হয়েছে।