ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির ফলে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন বিরলের কৃষকরা । গত বছরের তুলনায় এবার লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে ৪৭৫ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত বছর সরিষার আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে। এবার আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকুলে আর বাজারে চাহিদা ও ন্যায্যমুল্য থাকায় সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষি অফিস বলছেন, ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির ফলে স্থানীয়ভাবে ভোজ্যতেলের ঘাটতি পুরণের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ সরিষা চাষিদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরন ছাড়াও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।
বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমামের তথ্যমতে, বিরল উপজেলায় গত বছর ১ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হলেও ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির ফলে এবার ২ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে।
যা গত বছরের তুলনায় ৪৭৫ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষকরা স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষার মধ্যে বারি সরিষা- ১৪, বারি- ১৭, বারি- ১৮, বিনা- ৯ ইত্যাদি উন্নতজাতের সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। কয়েক বছর ধরে লাগামহীনভাবে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি ও বাজারে সরিষার ন্যায্যমুল্য থাকায় চাষিরা সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেকেই দো-ফসলি জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন।
আবার অনেকেই সাথি ফষল হিসেবেও লিচু বাগানেও সরিষার চাষ করেছেন। কয়েক বছর ধরে সরিষার দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে তেলেরও দাম। সরিষা আবাদের এই রোগ ব্যাপক পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হলো কৃষি বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের রোড ম্যাপ। চলমান সরিষা আমাদের অন্যতম একটি দিক হলো ব্লক বা ক্লাসটার আকারে চাষাবাদ।
প্রতিটি ইউনিয়নেই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবোধানে ব্লক আকারে বা গুচ্ছা আকারে সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের সঠিক দিক নির্দেশনা পরামর্শ তত্ত্বাবোধানে সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ব্যাপক ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
শুধুমাত্র দিনাজপুর জেলাতেই সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে গত বছরের তুলনায় ৭০ শতাংশ এবং দেশ ব্যাপী সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭ শতাংশের উপরে। সরিষার এই রূপ আমাদের ফলে ধৈর্য তেল আমদানির উপরে চাপ কম পড়বে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
একদিকে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি অন্যদিকে মধুর উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে সর্বোপরি ফলনে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম।