দিনাজপুর বিরামপুরে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ এখন হলুদের রঙের সমারোহের চিত্র। সরিষার এই ফলনে কৃষকের চোখেমুখে আনন্দে ফুটে উঠেছে বলে জানা যায়।
দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় যে,ফসলের মাঠগুলো সরিষা ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে। মাঠে পরিচর্চার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা । পৌর শহরের চাঁদপুর গ্রামের সরিষা চাষী মশিয়ার রহমান বলেন,দেশে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েই চলছে,তাই তেলের চাহিদা মেটাতে আমি সরিষার চাষ করছি। প্রতি বছর বাড়ির জন্য ৩৩ শতক সরিষা চাষ করতাম।
কিন্তু মানুষের চাহিদা পূরণ করতে আরও ১৫ শতক জমিতে বেশি সরিষার চাষ করেছে। এবারের সরিষার ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান। পৌর শহরের চাঁদপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আরেক সরিষা চাষী রায়হান কবির বলেন,প্রতিবছর আমি এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করি। এবছর দেড় বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। তেলের চাহিদা মেটাতে আমি বেশি করে সরিষার চাষ করেছি।
উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের খয়েরপাড়া গ্রামের সরিষা চাষী ফরমান আলী বলেন,প্রতিবছর আমি সোয়া বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করি। এবছর দেড় বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূল ও প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না থাকায় সরিষার ভালো ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল বলেন, বিরামপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এবার ১ হাজার ১শ’ ০২হেক্টর জমিতে সরিষা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে ১ হাজার ১ শ’ ০২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকেরা।
আবহাওয়া অনুকূল ও প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না থাকায় সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। এছাড়াও আমাদের অফিসার ও মাঠকর্মীরা সরিষা চাষের জন্য সব সময় কৃষকদের সেবা ও পরামর্শ দিয়ে আসছেন। আশা করছি, আগামীতেও সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ অনেক বাড়বে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান। তিনি আরো জানান এবারের মত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামীতে উক্ত ফসলের চাষের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে বলে জানান।