দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় সরকারিভাবে ১ ছাটকও আমন ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। উপজেলার দুইটি খাদ্য গুদামে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫৮১ মেট্রিকটন। ধান সংগ্রহ শুন্যের কোঠায়। আর চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৭৭২ মেট্রিক টন। চাল সংগ্রহ চলছে ধীর গতিতে। ধান সংগ্রহের কোন সম্ভাবনা না থাকলেও চাল সংগ্রহের আশাবাদি খাদ্য বিভাগ।
বিরল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতোয়ার হোসেন জানান, বিরল উপজেলায় দুই টি খাদ্য গুদামে আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র ছিল ১৫৮১ মেট্রিক টনের মধ্যে বিরল খাদ্য গুদামে ৯০০ মেট্রিক টন এবং মঙ্গলপুর খাদ্য গুদামে ৬৮১ মেট্রিক টন। আর চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৭৭২ মেট্রিক টন। এ উপজেলায় হাসকিং মিলের সংখ্যা ২২১ টি, অটো রাইস মিলের সংখ্যা ১০ টি।
২২১ টি হাসকিং মিলের মধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ১৯৩ টির মধ্যে বিরল খাদ্য গুদামের আওতায় ১১১ টি ও মঙ্গলপুর খাদ্য গুদামের আওতায় ৮২ টি। চুক্তিবদ্ধ ১০ টি অটো রাইস মিলের মধ্যে বিরলে ৭ টি ও মঙ্গলপুরে ৩ টি। ২১ টি হাসকিং মিল চুক্তবদ্ধ না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান। ৬ ডিসেম্বর ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
বিরল খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) নুরে রাহাদ রিমন জানান, চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমে আমন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। সরকার প্রতি কেজি ধান ২৮ টাকা দরে এবং চাল ৪২ টাকা দরে ক্রয় করছে। ধানের দাম বাইরে বেশি থাকায় কৃষকরা খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে অনিহা প্রকাশ করছে। আর অটো রাইস মিল ও হাসকিং মিল মালিকদের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩৪৭১ দশমিক শুন্য ৬০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশাবাদি।
মঙ্গলপুর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমাইয়া খানম জানান, ধান সংগ্রহ করতে পারেনি। ১২৭০ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।