চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে আগামী ৮ ফ্রেরুয়ারি থেকে অমর একুশে বই মেলা শুরু হবে। চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম চত্ত্বরে ২১ দিনব্যাপী এ বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ১৪ ফেব্রুয়ারি বসন্ত উৎসব উদযাপন। বুধবার টাইগারপাসস্থ চসিক নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে মেলার প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
চসিকের শিক্ষা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বই মেলা পরিষদের আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আব্দুস সবুর লিটন। বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, মো. আতাউল্লাহ চৌধুরী, চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, উপসচিব ও বই মেলার সমন্বয়ক আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি মহিউদ্দিন শাহ আলম নীপু, ড. আজাদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস, দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, ড. গাজী গোলাম মওলা, সাইফুদ্দিন আহমেদ সাকী, শুকলাল দাশ, অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন শিশির, আবদুল হালিম দোভাষ, কবি আইয়ুব সৈয়দ, শাহাবুদ্দিন মজুমদার, রাশেদ হাসান, আ.ফ.ম মোদাচ্ছের আলী, রাজীব রাহুল, দীপেন চৌধুরী, দিপক কুমার দত্ত, নুরুল আবছার, এড. মিলি চৌধুরী, মর্জিনা আকতার, নিশাত হাসিনা শিরিন, বিশ^জিৎ পাল, শাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, দেবাশীষ রুদ্র, মিজানুর রহমান শামিম, নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ, প্রণব চৌধুরী, জয়নুদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র আব্দুস সবুর লিটন বলেন, একুশে বইমেলা স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বইমেলাগুলোর অন্যতম। উৎসবমুখর বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব এই বইমেলা হয়ে উঠে বাঙালির মিলন মেলা। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাস করেনা তাদের প্রকাশিত বই যাতে মেলায় স্থান না পায় সে ব্যাপারে সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু জানান, অমর একুশে বই মেলা উপলক্ষে ১৮ই জানুয়ারী থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ওয়েব সাইট থেকে প্রকাশকরা স্টল বরাদ্দের ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন। এবারের বই মেলায় বিদেশী কুটনৈতিক মিশন, বাংলা একাডেমী ও শিশু একাডেমীকে স্টল বরাদ্দের প্রস্তাব করলে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এছাড়াও বইমেলায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার, শিশুতোষ কর্ণার,স্মার্ট বাংলাদেশ কর্ণার, মিডিয়া কর্ণার, লেখক আড্ডা, নতুন বই মোড়ক উম্মোচনসহ মেলাকে সফল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ।