দিনাজপুরের বিরল পৌরসভা নির্বাচনের ব্রম্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষনাকে কেন্দ্র করে ম্যাজিষ্ট্রেটের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় নারী-পুরুষসহ ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জন এবং ১২ নং রাজারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কানাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই ঘটনায় পরাজিত দুই প্রার্থীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামার আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কানাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুলিশ ১৫ রাইন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পৌরসভা নির্বাচনে ব্রম্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দ্বায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার জণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে এবং রাজারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কানাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দ্বায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা রির্সোস সেন্টারের সহকারী ইন্সট্রাক্টর এ এইচ এম সালেহীন বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, বিরল পৌরসভা নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডের ব্রম্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। ভোট গ্রহন শেষে ফলাফল ঘোষনা দিয়ে ভোট গ্রহন কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীগন সরঞ্জমাদি নিয়ে আসার পথে পরাজিত প্রার্থী মামুনুর রশিদ ও তাঁর সমর্থকগন কেন্দ্রের মেইন ফটক খুলে বের হওয়া মাত্রই তাদের উপর চড়াও হয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠিসোঠা নিয়ে আক্রমন করে ফলাফলের সীট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এমন সময় ওই কেন্দ্রে দ্বায়িত্বরত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ম্যাজিষ্ট্রেট মাহমুদুল হাসান এর ডাবল কেবিন পিকআপ যাহার নং- দিনাজপুর-ঠ-১১-০০৩৩ গাড়ি এবং বিদ্যালয়ে চেয়ার টেবিলসহ বিভিন্ন সরঞ্জমাদি ভাংচুর করে। এ সময় প্রিজাইডিং অফিসার সহ আইনশঙ্খলা কাজে নিয়েজিত পুলিশ, আনসারসহ ৮ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ব্রম্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দ্বায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার জণস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বাদী হয়ে ২০ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বিরল থানয় একটি মামলা নং- ১৬, তারিখ- ৩০/১২/২০২২ ইং মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, ১২ নং রাজারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কানাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ফলাফলকে কেন্দ্র করে টিউবওয়েল মার্কার পরাজিত সাধারন সদস্য প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ও ফুটবল মার্কার পরাজিত প্রার্থী আমিনুল ইসলামদ্বয়ের স্বজনরাসহ সমর্থকগন উত্তেজিত হয়ে ফলাফলের সীট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ১৫ রাইন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা রির্সোস সেন্টারের সহকারী ইন্সট্রাক্টর এ এইচ এম সালেহীন বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে বিরল থানায় একটি মামলা নং- ১৭, তারিখ- ৩০/১২/২০২২ ইং মামলা দায়ের করেন। রাত সোয়া ৭ টায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।