দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের নেটাশন ঘাট ও আশুড়ার বিলের উপর দিয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে জোড়াতালি একটি অবহেলিত সেতুর উপর দিয়ে ধানজুড়ী মিশন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার জনসাধারণ চলাচল করে। এতে করে বর্ষা মৌসুম আসলেই ওই ঘাটের ধানজুড়ী স্কুলের আদিবাসি ছাত্রছাত্রী ও এলাকার সাধারণ জনতা চলাচল করতে জনদুর্ভোগ পোহাতে পোহাতে হচ্ছে।
নেটাশন ঘাটের ওপার পাদমপুর ঘাট নামক স্থানে একটি সেতুর অভাবে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে দুইটি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার অসহায় মানুষজনকে, ব্রিজ নির্মাণের জন্য অনেক নেতা ও জনপ্রতিনিধি কথা দিয়ে কথা রাখেননি, কবে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে দুই উপজেলার কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ।
আশুড়ার বিলের আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন জানায়, বর্ষা মৌসুম আসলেই আশুড়ার বিলের ক্যানেলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার ২৮ হেক্টর জমির ইরি-বোরো ধান পানি নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরও জানান, খানপুর ইউনিয়নের ১১৮ বছরের মিশন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ওই জোড়াতালী দেওয়া সেতুর উপর দিয়ে ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোন সময় পানিতে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারাও বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে । এতে করে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারাও বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হন।
অনেক রাজনৈতিক নেতা এই ব্রিজ নির্মাণের জন্য পরিদর্শন করেছেন তা বাস্তবায়নে কাজ হয়নি। খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন পাহান জানায়, দিনাজপুরের ৬ আসনের সংসদ শিবলী সাদিক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার কয়েকবার পরিদর্শন করেছেন। তবে সেতুটি নির্মাণের জন্য ১৪৫ ফিট গভিরতা সয়েলটেস্ট করা হয়েছে।