আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিলকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন দলটির চট্টগ্রাম ও আশপাশের নেতাকর্মীরা। আগামী ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে যাওয়ার জন্য বিপুল উৎসাহ নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। দফায় দফায় নিজেদের মধ্যে সভা করে পরিকল্পনা ঠিক করছেন। চট্টগ্রাম থেকে কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ সর্বমোট ছয় হাজার নেতাকর্মী এই সম্মেলনে অংশ নিবেন।
২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দলটির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। দলের বর্তমান সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও একই পদে বহাল থাকবেন এটাই প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ দেখার প্রত্যাশা করছেন অনেক নেতাকর্মী। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়েও ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে।
চট্টগ্রাম মহনগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী দল। এই দলের জন্ম না হলে এই দেশ স্বাধীন হতো না। নেতাকর্মী ও অনেক সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক আগ্রহ থাকে।’
তিনি জানান, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে ১২৯ জন কাউন্সিলর ও ২৫৮ জন ডেলিগেট সম্মেলনে অংশ নিবেন। এদের মধ্যে নগর কমিটি ছাড়াও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারাও আছেন। এদের জন্য ট্রেনের বগি ভাড়া করা হয়েছে। এর বাইরে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মী সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকায় যাবেন।
চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকরা সম্মেলনে যাবেন। এছাড়াও দুই সাংগঠনিক জেলা থেকে ১১৯ জন কাউন্সিলর ও ২৩৮ জন ডেলিগেট মিলিয়ে সর্বমোট ৭১৪ জন কাউন্সিলর ও ডেলিগেট সম্মেলনের দুটি অধিবেশনে অংশ নিবেন। এদের জন্য ট্রেনে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া এই দুই সাংগঠনিক জেলা থেকে চার হাজারের মতো নেতাকর্মী সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে যোগ দিবেন। এদের বেশিরভাগই ২৩ ডিসেম্বর রাতেই ট্রেন, বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রের নিদেশনা অনুযায়ী কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা সম্মেলনে যোগ দিবেন। আমরা সম্মেলন প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘কাউন্সিলে যোগ দেওয়ার সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। সম্মেলন আসলে নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়তি উদ্দীপনা কাজ করে। সবাই সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তৃণমূলে রাজনীতি করি। এর আগেও সম্মেলনে গিয়েছি। এবারও যাবো। সম্মেলন আসলে সবার মধ্যে একটা চাঙ্গা ভাব আসে।’
নবচেতনা /এমএআর