কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বালিখোলা পাইকারি বাজারে ৪০ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩৭ লাখ টাকার মাছ কিনে টাকা না দিয়ে পালিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে। এ ঘটনায় আড়ৎ মালিকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। পরে নিপেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ নামের এক আড়ৎ মালিক বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় এজাহার দিয়েছেন।ব্যবসায়ীরা জানান, বালিখোলা বাজারে ইটনা উপজেলার চৌগাংগা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলিমের একটি মাছের আড়ৎ রয়েছে। চেয়ারম্যানের ছেলে মাহবুব আলম মাসুদ এটি পরিচালনা করেন।আড়ৎ মালিকরা জানান, মাহবুবু আলম গত সপ্তাহে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মাছ কেনেন। ১ ডিসেম্বর বকেয়া পরিশোধের কথা থাকলেও টাকা না দিয়ে আড়ৎ বন্ধ করে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত মাহবুব আলম মাসুদকে (৪৫) পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ধরে তার কোনো হদিস মিলছে না।
বালিখোলা বাজার মৎস্য আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি মো. সিদ্দিক মিয়া জানান, বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের মদদেই তার ছেলে ব্যবসায়ীদের টাকা না দিয়ে মাছ নিয়ে পালিয়েছেন। বাবা হিসেবে চেয়ারম্যান এ দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।এ ব্যাপারে চৌগাংগা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী জানান, ছেলের কাছে আমিও টাকা পাব। পাওনা আদায়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থাকবেন বলেও জানান তিনি।করিমগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম জানান, মামলার এজাহার পেয়েছি। দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাহবুবকে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ।ব্যবসায়ীরা জানান, ঐতিহ্যবাহী বালিখোলা বাজারে প্রতিদিন হাওরের মিঠাপানির এক থেকে দেড় কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। এমন প্রতারণার ঘটনায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলবে।