সিরাজগঞ্জবাসীর স্বপ্নের ৪ লেন মহাসড়ক নির্মাণ কাজে দীর্ঘদিন স্থবির হয়ে পড়েছিল । মেয়াদ শেষ হলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় শহরের মূল অংশে রাস্তটির প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে ছিল । অবশেষে সেই কাজের ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসন করে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় ৪ শ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেই রাস্তার মাঝেই নেসকোর ৩৩ হাজার বিদ্যুতের লাইন জন্য খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাইন স্থাপন হলে, বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। নেসকো সূত্রে জানা যায়, পটিয়াবাড়ি সাব স্টেশনের জন্য ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। আরও জানা যায়, পাবনার ইমা কনেষ্টকশন নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণের কাজ করছে। সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে তিনটি প্যাকেজের মধ্যে ৭ কিলোমিটার করে দুই লেন, আর শহরের কাটাওয়াবদা থেকে চন্ডিদাসগাঁতী পর্যন্ত ৬.৬ কিলোমিটার চার লেন মহাসড়ক। এর মধ্যে ২ লেন মহাসড়কগুলো ৯.৭ মিটার প্রশস্থ এবং ৪ লেন মহাসড়টির প্রস্থ হবে ১৮ মিটার। ৪ লেন সড়কের ২ পাশের রাস্তার প্রস্থ ৭.৩ মিটার করে, মাঝখানে আইল্যান্ড ১ মিটার ও ২ পাশে ফুটপাথ কাম ড্রেন ১.২ মিটার। তিন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ২৬৪ কোটি টাকা এবং জমি অধিগ্রহণ ব্যয় হয়েছে ১শ ৪৫ কোটি টাকা। সর্ব মোট প্রায় ৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে এই প্রকল্পটির কাজ । ২০২০ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল কাজটি। অবশেষে জমি অধিগ্রহণ শেষে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তূর্ণা এন্টারপ্রাইজ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক বিভাগের কাজ চলমান এবং সেই সড়কের মূল রাস্তায় নেসকোর বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী ইমরান জানান, গ্রীড সঞ্চালন লাইনের জন্য ৩৩ হাজার ভোল্টের উঁচু লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ফোর লেনের মধ্যে কেন বিদ্যুৎ লাইন, এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেন নাই। মূল রাস্তায় নেসকোর বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, আমরা সড়ক বিভাগের মৌখিক অনুমতি নিয়েই বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন করছি। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, আমরা কোনো অনুমতি দেইনি। অতিদ্রুত আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। উল্লেখ্য যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৪লেন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সিরাজগঞ্জবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বপ্নের এ সড়কটি। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীকে। সম্প্রতি নির্মাণাধীন এ মহাসড়কের কাজিপুর মোড়, বাজার স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে দেখাযায়, সার্কিট হাউজ থেকে শিয়ালকোল হয়ে চন্ডিদাদাসগাঁতী পর্যন্ত ৪ লেন কাজ এখনো চলমান রয়েছে এবং নলকা পর্যন্ত ২ লেন সড়ক নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও কিছু কাজ বাকি আছে। এসব রুট দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারলেও শহরে এসে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।