সিরাজগঞ্জের কাজীপুর চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনিরকে (৩৮) তার কক্ষে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, মনিরুজ্জামান মনির দীর্ঘদিন ধরে এ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ চাকরির সুবাধে তিনি পরিবার নিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসবাস করতেন। কিন্তু ভোরে কেন্দ্রে আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে মনিরুজ্জামানকে গুরুতর আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। জ্ঞান ফেরার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বড় ভাই রুহুল আমিন বাবলুর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জেরে রাতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আমি একা অবস্থান করার সুযোগে বড় ভাইসহ কয়েকজন কক্ষে প্রবেশ করে। ঘুমন্ত অবস্থায় আমার গলা চেপে মুখ আঠা দিয়ে আটকে দেয়। পরে আমার পিঠে এসিড ঢেলে বেদম মারধর করে। তারপর আমার রুমে আগুন দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। আমার মুখে আঠা লাগিয়ে দেওয়ায় আমি চিৎকারও করতে পারিনি। তিনি অভিযোগ করেন, এর আগেও তারা বিভিন্নভাবে মারধর, হয়রানিমূলক মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। শুধু তাই নয়, আমার শিশু সন্তানকে পানিতে ফেলে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিল তারা। এসব বিষয়ের প্রমাণসহ জেলা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। তিনি ও তার স্ত্রী সন্তানের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই বলে তিনি দাবি করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত চরদোরতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বাবলুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন পারুল জানান, এ ঘটনায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্টোরুমসহ দুটি রুমের আসবাবপত্র ও ওষুধ আগুনে পুড়ে গেছে। এতে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মনিরুজ্জামান একটু সুস্থ হলেই এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি জানার পর ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।