কোরিয়া প্রবাসীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আজাদ আলী ও তহমিনা আক্তার নামের এক দম্পতিকে আটক করেছে মেহেরপুর ডিবি পুলিশ।
বুধবার মধ্যরাতে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলা সুজাবাদ মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে আজাদ এবং তহমিনা দম্পতিকে আটক করে। আটক আজাদ আলী বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ মধ্যপাড়া গ্রামের কলিমুদ্দিন আকন্দের ছেলে এবং তহমিনা আক্তার আজাদের স্ত্রী।
জানা গেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার বেলতলা পাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে সাহিদ হাসান বাপ্পি ২০১৮ সালে কোরিয়া যান। কোরিয়া যাওয়ার পর সাইদ হাসান বাপ্পির সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় তহমিনা আক্তারের সাথে।সে সময় থেকে তহমিনা আক্তার নিজেকে কণিকা নামে পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
ফেসবুকের প্রেমের সূত্র ধরে প্রথমে বিয়ের কথা বলে, পরে কখনো অসুস্থসহ বিভিন্ন অজুহাতে বিভিন্ন সময় একাধিক নাম্বারে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে সাঈদ হাসান বাপ্পির নামে থানায় মামলা করা হয়েছে এবং তাকে ছাড়াতে হবে মর্মে তার আত্মীয়ের কাছে নতুন করে অর্থ দাবি করায় বিষয়টা সন্দেহ হয়। পরে তার চাচাতো ভাই সোহেল রানাকে বিষয়টি জানালে, সোহেল রানা খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি প্রতারণা বলে ধারণা করে। এ ঘটনায় সোহেল রানা বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১৮ জুলায় ৪০৬/৪২০ ধারায় মেহেরপুর সদর থানার একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলার নং ২৫। এদিকে ওই মামলার সূত্র ধরে মেহেরপুর ডিবি পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় মেহেরপুর ডিবি’র ওসি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে বুধবার মধ্যরাতে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ মধ্যপাড়া থেকে তাদের দুজনকে আটক করে মেহেরপুর নিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার আটক দম্পতিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলম।তিনি বলেন, সাইদ হাসান বাপ্পি নামের এক ভদ্রলোক করিয়া প্রবাসী, তিনি ২০১৮ সালে কোরিয়া যায়। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কনিকা পরিচয়দানকারী এক নারীর সাথে তার পরিচয় হয়। দীর্ঘদিন কথা বলার ফলে তাদের ভিতরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুবাদে তাকে বিবাহ করবে বলে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে তার কাছ থেকে প্রায়ই ৬০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ডকুমেন্টস পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, কনিকা পরিচয়দানকারী ওই নারীর আসল পরিচয় জানা গেছে তার নাম তহমিনা আক্তার। তার স্বামী আজাদ উভয়ের বাসা বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার সুজাবাদ মধ্যপাড়ায়। স্বামী স্ত্রী এবং স্থানীয় এক দোকানদার রবিউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সহযোগিতায় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার অধিক হাতিয়ে নেয় ওই করিয়া প্রবাসীর কাছ থেকে।