মেহেরপুরে আন্ত: জেলা ডাকাতদলের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গােয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত হলেন- রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সেনপাড়া কালিতলা বাজার এলাকার আলতাব মন্ডল (৫৩), চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বােয়ালিয়া গ্রামের রমজান আলী ওরফে রমজান ডাকাত (৪৮) ও একই উপজেলার জেহালা গ্রামের আসাদুল ইসলাম ওরফে (৩৬)। শনিবার সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম জানান, গত ২ নভেম্বর দিবাগত মধ্যেরাতে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহা সড়কের গাংনীর শুকুরকান্দি নামক স্থানে গাছ ফেলে সড়ক অবরােধ করে দূরপাল্লার যাত্রীবাহি বাস,ড্রাম ট্রাক ও আলমসাধু গাড়ি অবরােধ করে ডাকাতদলের সদস্যরা। এসময় দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে তারা চালক,হেলপার ও যাত্রীদের কাছ থেকে৫০ হাজার টাকা নেয় এবং রক্তাক্ত জখম করে।এঘটনায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনের নামে গত ২ নভেম্বর গাংনী থানায় একটি মামলা হয়। মামলার পর থেকে গাংনী থানা পুলিশ ও মেহেরপুর জেলা গােয়েন্দা পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল একযােগে আসামীদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে নামে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ অজ্ঞানামা ডাকাতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এবং পর্যাক্রমে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আলতাব মন্ডলের নিকট থেকে ডাকাতির ভাগের ৭০০টাকা ও ১টি মােবাইলফােন জব্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি ডাকাতি মামলা ও ১ অস্ত্র মামলা রয়েছে। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত রমজান আলীর বিরুদ্ধে ১টি ডাকাতি ও ১টি চুরির মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসাদুল ইসলাম ওরফে শরিফুলের নামে ১টি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১টি চুরির মামলা রয়েছে। এরা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১টি হাতল যুক্ত করাত,৫টি হাসুয়া,১টি ফুলহাতা কলারসহ গেঞ্জি, ১টি কলার বিহীন কাল গেঞ্জি,কাল রঙের হাফ প্যান্ড,২টি লুঙ্গির কাটা অংশ,ডার্বি কােম্পানীর ৩টি গালি প্যাকেট,সাদা রঙের ১৪টি পলিথিন উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।