মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কড়ুইগাছি গ্রামে সুমন আলী সমর (৩২) নামের এক ব্যক্তির বাড়ির রান্না ঘরের সামনে থেকে দুটি বোমা সদৃশ বস্তু, কাফনের কাপড় ও দুই পাতা বিশিষ্ট চিরকুট উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে মৃত্যুর যম পরিচয়ে ফেলে যাওয়া বোমা সদৃশ দুটি বস্তু, কাফনের কাপড় ও ভাঙ্গা ভাঙ্গা হাতে লেখা দুই পাতা বিশিষ্ট চিরকুট এলাঙ্গী ক্যাম্পের এসআই রেজাউল হক উদ্ধার করেন। সুমন আলী সমর উপজেলার কড়ুইগাছি গ্রামের ভিটা পাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে ও রায়পুর ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক। গাংনী থানা পুলিশের এলাঙ্গী ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রেজাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কড়ইগাছি গ্রামের ভিটাপাড়ায় সুমন আলী সমরের রান্না ঘরের সামনে থেকে লাল টেপ দিয়ে জড়ানো দুটি বোমা সদৃশ বস্তু, কাফনের কাপড় ও দুই পাতা বিশিষ্ট চিরকুট সকাল ৭ টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কে বা কাহারা কি উদ্দেশ্যে এটা রেখে গেছে তার কারণ জানা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনা তদন্তে পুলিশ মাঠে রয়েছেন। তবে দলীয় কোন্দল ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কেউ হয়তোবা এ কাজ করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু জানান, সুমন আলী সমর আমার দলীয় ছেলে। বোমা সদৃশবস্তু, কাফনের কাপড় ও চিরকুট ফেলে যাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। কয়দিন আগে গোপালনগর গ্রামেও এ ঘটনা ঘটেছে। এসব সাজানো নাটক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ভয়-ভীতি দেখানোর উদ্দেশ্যে কেউ হয়তোবা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী সুমন আলী সমর জানান, নৌকা এবং ট্রাকের ভোটকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। তাছাড়া চলতি বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পরপর তার দোকানপাট ভেঙ্গে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রায় দুই মাস বাহিরে থাকার পরে গত ১০ দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে এসেছেন। তবে রাতের আঁধারে কে বা কারা বোমা সদৃশ বস্তুগুলো ফেলে রেখে গেছে তা তিনি জানেন না। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করবেন বলেও জানান তিনি।