বিভিন্ন জাতির শ্রেষ্ট পুরুষ থাকে। তেমনই বাঙালি জাতির শ্রেষ্ট পুরুষ হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালির শ্রেষ্ঠতম অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আর এই স্বাধিনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সংগে যার নাম চিরস্মরনীয় হয়ে আছে। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে আমরা জাতির পিতা নামে আখ্যায়িত করি। তিনি আমাদের বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। কারন বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি তার জন্য। এখন আমরা পৃথীবির বুকে গর্ব করে বলতে পারি আমরা একটি স্বাধীন জাতি। আমরা আজও বিশ^াস করি শেখ মুজিবের জন্ম না হলে আমরা এখনো পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ থাকতাম।
নিপীড়িত জাতির ভাগ্যকালে যখন দূর্যোগের কালো মেঘ তখনই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় আবির্ভাব। অসাধারন দেশ প্রেম ও দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে তিনি সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। তাই বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন নাম।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলো ১৯২০ সালের ১৭ ই মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে। অতীতে সেটা ছিলো গোপালগঞ্জ মহকুমা। সূদুর অতীতকাল থেকেই গোপালগঞ্জ জেলা মাছের জন্য বিখ্যাত ছিলো। বঙ্গবন্ধুর বাড়ীর আশে পাশে প্রচুর বিল ছিলো। সেই সব বিলে পাওয়া যেতো প্রচুর মাছ যার ফলে বঙ্গবন্ধুর খাওয়া দাওয়া ছিলো যথেষ্ট পুষ্টিকর। এ কারনেই বোধ হয় বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলায় তেমন কোন স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা হয়নি। তবে বঙ্গবন্ধু ১৪ বছর বয়সে বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। বেরিবেরি রোগটা মূলত ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন এর ঘাটতি থেকে হয়। বেরিবেরি তখন মহামারী আকারে ধারন করেছিলো, কারন তখন খাবারে ভিটামিন বি১ এর ঘাটতি ছিলো। তবে রোগীকে যদি আবার বি১ সমৃদ্ধ খাবার দেয়া হয় তবে রোগী সম্পূর্ন সুস্থ হয়ে উঠে। বঙ্গবন্ধু কিছু দিন এ রোগে ভোগার পর বি১ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের মাধ্যমে রোগ থেকে মুক্তি পান।
বঙ্গবন্ধুর যখন বয়স ৩০ বা ৩৫ বছর তখন তাঁর চোখে গ্লুকোমা ধরা পড়ে। গ্লুকোমা হলে চোখের প্রেশার বেড়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর গ্লুকোমা প্রাথমিক ভাবেই ধরা পড়ে। বঙ্গবন্ধু কালো মোটা চশমা পরতেন। কাকতালীয় ভাবে বর্তমানে আমি যেখানে প্রাকটিস করি অপটিকস ম্যান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ-বঙ্গবন্ধুর সব চশমা ওখান থেকে নিতেন। বঙ্গবন্ধুর গ্লুকোমা চিকিৎসার জন্য প্রথমে কোলকাতা যান, পরে দেশে ফিরে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. টি আহমেদের কাছে চিকিৎসা নেন।
স্কুলজীবনেই বঙ্গবন্ধু রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, ছোটবেলা থেকেই তার রাজনৈতিক প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে থাকে। তিনি যখন মিশনারি স্কুলে পড়তেন তখনই স্কুল ছাত্রদের পক্ষ থেকে ছাত্রাবাসের দাবি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছিলেন, যা সত্যিই বিরল ও তার রাজনৈতিক চেতনা বিকাশের একটি শুভ লক্ষণ। কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তির বছরই বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং ১৯৪৩ সালে প্রাদেশিক মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন, তার প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগ পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ভাষা আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে রাজপথে আন্দোলন ও কারাবরণ, পরে আইনসভার সদস্য হিসেবে রাষ্ট্রভাষার সংগ্রাম ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অতুলনীয় ভূমিকা রাখেন। এক কথায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর সক্রিয় অংশগ্রহণ ইতিহাসের অনন্য দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাভাষা, মায়ের ভাষা, সেই মাতৃভাষায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। মাতৃভাষা রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পেয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ভাষা আন্দোলন ও সংগ্রামের পথ দিয়েই আমরা বাঙালি, আমাদের আলাদা জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা এবং সেই সঙ্গে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র আমাদের উপহার দিয়ে গেছেন।
রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও জনমুখী তৎপরতার কারণে ১৯৫৩ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ স¤পাদক এবং পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের (পরিবর্তিত নাম) সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু লাহোরে তার ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি পেশ করেন যাতে পূর্ব পাকিস্তানের পরিপূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা বর্ণিত ছিল। এর মাধ্যমেই মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকার আন্তর্জাতিক চাপে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিলে ১০ জানুয়ারি তিনি নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং পূর্ণোদ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন।
বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে কিন্তু খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি হয়ে ওঠেন কোটি কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। একদিকে তার ছিল অসাধারণ সাংগঠনিক ক্ষমতা, অন্যদিকে অতুলনীয় বাগ্মীতা। সাধারণত একই ব্যক্তির মধ্যে এই দুইগুণের সমাহার দেখা যায় না।
স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছিলেন, এরই ধারাবাহিকতায় আজও দেশের প্রায় সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সদ্যস্বাধীন দেশে বৃহত্তর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি স্বাস্থ্যব্যবস্থার জাতীয়করণ করেন। মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য আগ্রহী করে তোলা হয়। চিকিৎসকরা দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা পেতেন, বঙ্গবন্ধু তাদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেন। ১৯৭২ সালে একটি আইনগত কাঠামোর ম্যধ্যমে বিসিপিএস প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৭২ সালে মিটফোর্ড হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে উন্নীত করা হয়। আইসিডিডিআরবি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কলেরা ও ডায়রিয়া রোগ নির্মূলে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর আমলে ঢাকায় সংক্রামক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ৩৭৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওষুধ উৎপাদন ও এর ক্ষতিকর প্রয়োগ এবং নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় অধ্যাপক মরহুম নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ওষুধ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। এর ফলস্বরূপ দেশ আজ ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানিতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু বারডেম হাসপাতালের জমি প্রদান ও গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের গোড়াপত্তন করেন। ১৯৭৪ সালে রোগ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে নিপসম প্রতিষ্ঠা করা হয়। চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণার মান নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করা হয়। আইপিজিএমআরের রক্ত সঞ্চালন বিভাগ উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধু বলেন, চিকিৎসক তৈরিতে জনগণের ট্যাক্সের টাকা ব্যয় হয়। দরিদ্র মানুষের সেবায় সব চিকিৎসক যেন নিয়োজিত থাকে তিনি সেই আহ্বান জানান। তার নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে শহিদ চিকিৎসকদের নামের তালিকা আইপিজিএমআরে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। জাতির পিতার স্বাস্থ্য ভাবনার মূল লক্ষ্য ছিল, দেশে প্রচুর ডাক্তার হবে, ডাক্তাররা মর্যাদাবান হবে, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবে এবং এদেশের মানুষকে সেবা প্রদান করবে। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে দেশে ওষুধনীতি প্রণয়ন করা হয়। জনগণ আজ যতটুকু স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে, তার ভিত্তি প্রতিষ্ঠা ও কর্মপরিকল্পনা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সদ্যস্বাধীন দেশে মেধাবী ছাত্রদের চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান করে মেডিকেল আন্ডার গ্রাজুয়েট ও পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মেডিকেল কলেজ ও আইপিজিএমআর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের ডাক্তার সংকট নিরসনের প্রচেষ্টা চালান। তিনি আইপিজিএমআর প্রতিষ্ঠার মাধ্য স্নাতকোত্তর, এমফিল, এমএস, এমডি ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা রাখেন। এফআরসিএস শেষ করা বহু ডাক্তার বিদেশে ছিল, তাদের দেশে ডেকে আনেন। তারা দেশে এসে চিকিৎসাসেবা শুরু করেন। সদ্যস্বাধীন দেশে যা যা করণীয়, বঙ্গবন্ধু তা-ই করেন। শিক্ষা, সেবা, পুষ্টি, অন্ধত্ব দূরীকরণে ব্যবস্থা নেন। তিনি ইপিআই প্রোগ্রাম চালু করেন। বঙ্গবন্ধু জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধে ১৯৭৩ সালে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে বিশেষ দিক নির্দেশনা দেন এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দেশের স্বাস্থ্য খাতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে তিনি আহত মুক্তিযোদ্ধাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য বিশেষ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। গুরুতর আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য হাজার হাজার আহত মুক্তিযোদ্ধাকে পূর্ব জার্মানি, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) ভারত, চেকোস্লোভাকিয়া ও ফ্রান্সে প্রেরণ করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ঔষুধের বিশাল সংকট ছিল এবং এটি সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ও তাদের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল। বঙ্গবন্ধু দেশের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে ওষুধ আমদানির জন্য বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশনকে (টিসিবি) নির্দেশনা দেন। তিনি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী তাৎকালীন মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে ওষুধ বিতরণের ব্যবস্থা করেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ওষুধ উৎপাদনের ব্যবস্থাও করেছিলেন। বেশির ভাগ ঔষুধ তখন কয়েকটি বহুজাতিক কো¤পানি দ্বারা উৎপাদিত হতো, যা ছিল ব্যয়বহুল। চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা গ্রহণ করাও সাধারণ মানুষের পক্ষে কষ্টকর ছিল। ফার্মাসিউটিক্যাল কো¤পানিগুলোকে বহুজাতিক সংস্থার সব ধরনের ওষুধ উৎপাদনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। গবেষণার জন্য বিএমআরসি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) প্রতিষ্ঠা করা হয়। নার্স, ডাক্তার, মিডওয়াইফারি, টেকনোলজিস্ট তৈরির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। কলেরা হাসপাতাল (আইসিডিডিআরবি) প্রতিষ্ঠা করা হয়। আইডিসিএইচ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু তার মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসন আমলে স্বাস্থ্য খাতের যে রূপরেখা দিয়েছিলেন, আজ এরই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে চলেছে এ খাত। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বরণের পর বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি শক্তিশালী। জাতির পিতা যে দারিদ্র, ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা ক্ষুধা, দারিদ্র, নিরক্ষরতামুক্ত ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বিনিমার্ণ-ই হোক আমাদের সবার অঙ্গীকার।
—–
ভাইস চ্যান্সেলর
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।