বুধবার খুলনা কেএমপি’র সদর দপ্তরস্থ সম্মেলন কক্ষে পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয়ের সভাপতিত্বে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে কেএমপি’র কমিশনার মহোদয় তিনি তার বক্তব্যে বলে, পবিত্র মাহে রমজানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। পবিত্র মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতর-২০২৪ উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ স্বাভবিক রাখাসহ মূল্য নিয়ন্ত্রণ, অবৈধ মজুদদারী ও কালোবাজারী বন্ধকরণের পাশাপাশি পরিবহন সেক্টরে (পণ্যবাহী যানে) এবং আঁড়তে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ডেপুটি পুলিশ কমিশনারদের তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশনা প্রদান করেন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ মহানগরীতে জঙ্গী ও সন্ত্রাস, মাদক, মানব পাচার, চাঁদাবাজি প্রতিহতসহ যানজট মুক্ত নগরী গড়তে বদ্ধ পরিকর। এছাড়াও হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা, গণধর্ষণ, অপহরণসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর মামলাসমূহ নিবিড়ভাবে তদন্ত করার জন্য সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন। যে কোন ধরণের ফৌজদারি আপরাধ সংঘটন ও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে সংশ্লিষ্ট অফিসারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বক্তব্যে আরও বলেন, খুলনা মহানগরী এলাকায় মাদক সংক্রান্ত কোন অভিযোগ শুনতে চাই না। এজন্য মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের তালিকা অনুযায়ী মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী, জুয়াড়ি, দেহ ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে। কেএমপি’র আওতাধীন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটলে দ্রুততার সাথে মামলা রুজু করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে হবে। চুরি বন্ধে টহল পুলিশ নাইট গার্ডদের সতর্ক করবে। উক্ত সবার শেষে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মহোদয় অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সহকারি পুলিশ কমিশনার ১ জন পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ৪ জন এসআই পদমর্যাদার ৩২ জন এএসআই পদমর্যাদার ১২ জন, অফিস সহকারি পদমর্যাদার ১০ জন, কনস্টেবল পদমর্যাদার ২০ জনসহ সর্বমোট ৭৯ জন পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পাদনের জন্য তাদেরকে নগদ অর্থ ও সার্টিফিকেট এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উক্ত অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র সিটিএসবিতে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মো: ইবাদত হোসেন শেখ দীর্ঘ চাকুরী জীবন শেষে বার্ধ্যক্যজনিত কারণে অবসরে যাওয়ায় পুলিশ কমিশনার মহোদয় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করেন। একইসাথে তিনি তার অবসরকালীন সময়ে সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল ও সুস্থতা কামনা করেন। এ সময় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল, অতিঃ দায়িত্বে ক্রাইম) মোছাঃ তাসলিমা খাতুনসহ বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, সকল পদমর্যাদার পুরষ্কারপ্রাপ্ত অফিসার ও ফোর্সবৃন্দরা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।