গত দুই সপ্তাহ থেকে কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে মেহেরপুরে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল ৬টায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিস্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক অফিসের তথ্য মতে, গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রির ভেতরে ওঠানামা করছে। কনকনে শীত থাকায় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনজীবনে জবুথবু অবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে রোগবালাইও বেড়েছে। শীতজনিত নানা রোগে হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যা বেড়েছে। শীত থেকে বাঁচতে বিভিন্নস্থানে অনেককে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে মেহেরপুর। শুক্রবার ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে জেলায় যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। আবহাওয়ার অধিদপ্তর বলছে, মেহেরপুর জেলায় বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। কিছু কিছু স্থানে কুয়াশা এত ঘন হয়ে জমেছে যে ২০ হাত দূরের জিনিসও দৃশ্যমান হচ্ছে না। শীত ও কুয়াশার এ অবস্থা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। জেলাতে জানুয়ারির প্রথম থেকেই শীতের দাপট বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহের এ দাপট কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে, ঘন কুয়াশায় ব্যাঘাত ঘটছে জীবনযাত্রায়। জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারনে হিমশীতল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ফলে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন এখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শৈত্য প্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না অনেক বেলা পর্যন্ত। শীতে কাজ না পাওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।