শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেট বৈষম্য শিকার বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, দশ বছর সিলেটের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তবুও সিলেটের শিক্ষা ব্যবস্থা এতো পিছিয়ে থাকবে কেনো প্রশ্ন ছুড়েন ; এসব বিষয় নিয়ে আমাদের কথা বলতে হবে। মেয়র মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বুধবার দুপুরে নগরীর রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যদানকালে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ১৮২০ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের এই করুণ দশা দেখে আমি মর্হাহত। আমি সিলেটের সন্তান হিসেবে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা কোথায় আছি। এই সিলেটের শিক্ষা ব্যবস্থা, এটা বৈষম্যের শিকার আমরা। এই বৈশম্য হতে পারে না। যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের জোয়ার। সিলেটের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা, এনআরবিদের হাট, একটি আধ্যাত্বিক নগরী হযরত শাহ জালাল (র.), হযরত শাহ পরাণ (র.) এর স্মৃতিবিজরিত নগরীর শিক্ষ ব্যবস্থার বেহাল দশা দেখে আমার কাঁদতে ইচ্ছা করছে, কিন্তু আমি কাঁদতে পারি না। মেয়র বলেন, আপনারা জানেন আমি রাজনীতি করি, আমার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আমাদের অর্থমন্ত্রী ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন এবং আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। এখন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সব কিছু দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান দেখেন!শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের করুন হাল দেখে বিস্মিত হচ্ছি। তিনি সরকারী কলেজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বিগত ৩০ বছর আগে যেমনটি ছিলো, আজো একই রকম রয়ে গেছে। এটা তো সিলেটের চিত্র হওয়ার কথা ছিলো না। আজকে এইসব বিষয়ে নজর দিতে হবে, কথা বলতে হবে। এই বৈষম্য হতে পারে না। এক দেশে দুই আইন হতে পারে না। কোনো জেলায় একশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে সরকারি আর আমার জেলা সিলেটে হবে মাত্র চারটি সরকারী কলেজ এটা হতে পারে না। মেয়র মোঃ আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, গরীব মানুষের বাচ্চারা এসব সরকারি স্কুলে লেখাপড়া করে। সরকার কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে, শিক্ষার উন্নয়নের জন্য। বাচ্চাদের লেখাপড়ার জন্য। এসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত। তিনি রাজা জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রক্ষায় প্রদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব এই জমি বিদ্যালয়ের দখলে নেয়া উচিত।