সিলেটে নদনদীর পানি কখনো বাড়ে কখনো কমে। কোনো কোনো স্থানে পানি কমলেও সিলেট জেলার তিন উপজেলায় নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলা তিনটি হচ্ছে বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ। এ তিন উপজেলার কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এর মধ্যে ফেঞ্চুগঞ্জে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতঙ্ক। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গতকাল বুধবার বেলা ৩টায় কানাইঘাটে সুরমার পানি কমলেও বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা অমলসীদে ১৩ সে.মিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জে ৪৪ সে.মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উজানে পানি কমলেও ভাটির দিকে পানি বাড়ছে। এক সপ্তাহ আগে পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বন্যা দেখা দিলে সাত উপজেলার সাড়ে ৬ লাখ লোক বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। পরে সরকারিভাবে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। দুর্গতদের মধ্যে খাদ্য ও নগদ টাকা প্রদান করা হয়। পরবর্তী সময় কোনো কোনো স্থানে পানি কমলেও মানুষ এখনো দুর্ভোগে।
ফেঞ্চুগঞ্জে নদীভাঙন: এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পিঠাইটিকর গ্রামে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রবল স্রোতে গত দুই দিনে ঐ গ্রামের তিনটি বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে আরও অর্ধশতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে চরম দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ঐ গ্রামের নদীপাড়ের বাসিন্দারা। অনেকে ভাঙন আতঙ্কে পরিবার নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। এদিকে মঙ্গলবার বিকালে নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আসফাকুল ইসলাম সাব্বির। তিনি বলেন, ‘ভাঙনের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিগগিরই সেখানে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।’ বন্যাদুর্গতদের মধ্যে চাল বিতরণ করবে সিসিক: বন্যার্তদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে আসা ত্রাণ সহায়তা নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয় গতকাল বুধবার দুপুরে। সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. মখলিছুর রহমান কামরানের সভাপতিত্বে সভায় ৩৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।