হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা সদর থানায় সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
কেএমপি কমিশনার বলেন, আগামী ০৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় থাকবে। নির্বাচনের দিন কেউ যেন বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে এবং ভোট কেন্দ্রে কেউ যেন সন্ত্রাস, নাশকতা বা আধিপত্য বিস্তার করতে না পারে। নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সমান সুযোগ থাকবে, এটি পুলিশ নিশ্চিত করবে। আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, কতিপয় বিরোধীদল নির্বাচন উপলক্ষে ৬ জানুয়ারি ভোর ৬টা থেকে ৮ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, অন্যান্য দিনের মতোই নির্বাচনের দিন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক থাকবে।
কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, নির্বাচন সাধারণ জনগণের মধ্যে উৎসবের আমেজ ডেকে আনে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন এলাকায় লোকজন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবে। এক্ষেত্রে কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। এ বিষয়ে আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করতে চায় বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায় অথবা নাশকতা করতে চায়, সেক্ষেত্রে পুলিশের পিকেট, মোবাইল টহল ও স্ট্রাইকিং টিম প্রস্তুত আছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ও আইনগত ব্যবস্থা নেব।
তিনি জানান, খুলনা মহানগরীতে সর্বমোট ৩১০টি কেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন আরও সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে করার জন্য নির্বাচন কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক সশস্ত্র পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব মোতায়েন থাকবে। অন্যান্য সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে নিরাপত্তার চাদরে মেট্রোপলিটন এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে প্রায় তিন হাজারের মত পুলিশ সদস্য নির্বাচনের আগে ও পরে দায়িত্ব পালন করবে এবং করছে। নির্বাচনের আগে হরতাল-অবরোধেও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।
এই পুলিশ কমিশনার বলেন, নির্বাচনের দিন সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে দলে দলে ভোট দেবে এবং নির্বাচনের পরবর্তীকালেও এই পরিবেশ অক্ষুণ্ণ থাকবে।