সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে বাঘের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাইলনের ফেন্সিং (বেড়া) নির্মাণের কাজ অতি শীঘ্রই শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬ কিলোমিটার জুড়ে ফেন্সিং দেওয়া হবে। সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবনে বাঘ গণনা, ৬০ কিলোমিটার জুড়ে নাইলনের ফেন্সিং, উচুকেল্লা ও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ। সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ে। সম্প্রতি বনের চাঁদপাই রেঞ্জের বন থেকে শরণখোলার ধানসাগর, খেজুড়বাড়ীয়া, টগড়াবাড়ী, সোনাতলা, রাজাপুর, মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়ীয়া, জিউধারা, আমুরবুনিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামে একাধিকবার বাঘ অনুপ্রবেশ করে। বাঘের আতঙ্কে গ্রামের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ টাইগার রেসপন্স টিম, ভিটিআরটি সদস্যরা রাত জেগে গ্রাম পাহাড়া দিয়ে আসছে। সুন্দরবনে পর্যটকরা দেখলো বাঘের সাঁতার, ভিডিও ভাইরালসুন্দরবনে পর্যটকরা দেখলো বাঘের সাঁতার, ভিডিও ভাইরাল পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামাঞ্চলে বাঘের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে লোকালয় সংলগ্ন বনের সীমানায় খুব তাড়াতাড়ি নাইলনের ফেন্সিং (বেড়া) দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে এজন্য এক কোটি পঁচানব্বই লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চাঁদপাই রেঞ্জ সদর থেকে শুরু করে কাটাখালী বৈদ্যমারী পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার জুড়ে নাইলনের ফেন্সিং দেওয়া হবে। নাইলনের ফেন্সিং দেওয়া হলে অতি সহজে বাঘসহ বন্যপ্রাণী আর লোকালয়ে ঢুকতে পারবে না। বনবিভাগের খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার বলেন, সুন্দরবনের উন্নয়নে বনবিভাগ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২০২৫ সালের মার্চ মাসে। ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সুন্দরবনে বাঘ গণনা, বাঘের রোগবালাই নিয়ে গবেষণা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে জলোচ্ছ্বাসে বাঘের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ১২টি উঁচু কেল্লা, লোকালয়ের কাছে বনের সীমানায় ৬০ কিলোমিটার নাইলনের ফেন্সিং নির্মাণ, চাঁদপাই রেঞ্জ ও খুলনা রেঞ্জে একটি করে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ। এ পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের তিন ভাগের একভাগ কাজ শেষ হয়েছে।