প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে জামালপুরে দায়ের হওয়া মামলার আসামিদের মধ্যে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ পাঁচজন বিএনপিনেতা আজ রবিবার দুপুরে জামালপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে হাই কোর্ট থেকে নেয়া ছয় সপ্তাহের জামিননামা দাখিল করেছেন। আদালত আগামী ১০ জুলাই এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বাদী হয়ে গত ২৩ মে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ সাতজনের নামে ও অজ্ঞাত আরো ৪০০/৫০০ জনকে আসামি জামালপুরের আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী (দ্রুত বিচার) আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির অন্য ছয়জন আসামি হলেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন,বি,এন,পির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সম্পাদক ও মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. হারুন আর রশিদ। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের আদেশক্রমে দুই কার্যদিবসের মধ্যে মামলাটি সদর থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। মামলাটির সাতজন আসামির মধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন ও মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল গত ৩০ মে হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়েছেন। এই পাঁচজন বিএনপিনেতা তাদের জামিননামা দাখিলের জন্য আজ রবিবার সকালে জামালপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। এ সময় বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী আদালত প্রাঙ্গণে ভীড় করেন। বেলা আড়াইটার দিকে তারা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. এহসানুল হকের আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের হাইকোর্টের জামিননামা দাখিল করেন। এ সময় আদালত আগামী ১০ জুলাই বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন ধার্য্য করেন। আদালতের আদেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির যুগ্মমহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপিসহ বিরোধীদলের সকল নেতাকর্মীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বানোয়াট বিভিন্ন মোকদ্দমা দায়ের করা হচ্ছে, আজকে জামালপুরের এই আদালতে আমাদের এই উপস্থিতি, সেটির আরেকটি নমুনা। এখানে আমাদের আইনজীবীরা ছিলেন। আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা এসে হাজির হয়েছি। মাননীয় আদালত আমাদের এই জামিনের বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য আগামী ১০ জুলাই তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের জামিননামা এই আদালতে দাখিল করেছি। এ সময় বিএনপির চলমান আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।